স্বাস্থ্যঃ
দেশের অন্যতম দ্রুত বর্ধমানশীল হেলথকেয়ার ব্র্যান্ড প্রাভা হেলথ-এর চিকিৎসা-কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং যুক্তরাষ্ট্রের কমার্শিয়াল ও বিজনেস অ্যাফেয়ার্স-এর বিশেষ প্রতিনিধি দিলাওয়ার সৈয়দ।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির ঢাকায় অবস্থিত ফ্ল্যাগশিপ মেডিকেল ফ্যাসিলিটি পরিদর্শনের সময় অতিথিদের সাথে ছিলেন প্রাভা হেলথ-এর প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিলভানা কাদের সিনহা।
বিশেষ প্রতিনিধি দিলাওয়ার সৈয়দ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে মার্কিন বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে দক্ষিণ এশিয়া সফরে এসেছেন এবং এটি তার সফর এর একটি অংশ।
পরিদর্শন শেষে, প্রাভা হেলথ-এর প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিলভানা কাদের সিনহা বলেন, “প্রাভা’য় পিটার হাস এবং দিলাওয়ার সৈয়দকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত।
প্রাভা’য় রোগীদের আধুনিক পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। ক্রমাগত ক্রস-ন্যাশনাল সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমেই আমাদের ব্যবসাগুলো সমৃদ্ধি লাভ করবে।
বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন সরকার ও বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এর অবদান প্রসংসার দাবিদার।
অন্যদিকে, দিলাওয়ার সৈয়দ একজন মুসলিম উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-এর প্রশাসনের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তা, তাই তার সাথে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি গর্বিতবোধ করছি।
আমাদের অধিকাংশ বিনিয়োগকারী ও আমি নিজেও আমেরিকান বংশদ্ভুত, তাই তাদের এই আগমন বাড়তি আনন্দেরও বটে।”
সিলভানা কাদের সিনহা এবং তার টিমের প্রশংসা করে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, “বাংলাদেশে সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে প্রাভা হেলথ উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছে, যা সত্যিই বিস্ময়কর। একইসাথে, এটি মার্কিন বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের কমার্শিয়াল ও বিজনেস অ্যাফেয়ার্স বিভাগের বিশেষ প্রতিনিধি দিলাওয়ার সৈয়দ বলেন, “প্রতি বছর হাজারো মানুষকে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে প্রাভা হেলথ। তাদের এই চেষ্টা দেশের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর উন্নয়ন ও দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে উন্মুক্ত করতেও সাহায্য করবে।
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে এমন প্রগতিশীল ব্যবসায়ের সাথে মার্কিন অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করলে তা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই লাভজনক হবে।”
-শিশির