মানুষ আবার আগের মত হাসবে, স্বপ্ন নিয়ে বাঁঁচবে

মানুষ আবার আগের মত হাসবে, স্বপ্ন নিয়ে বাঁঁচবে
মানুষ আবার আগের মত হাসবে, স্বপ্ন নিয়ে বাঁঁচবে

মিলি সুলতানা, কুইন্স, নিউইর্য়ক থেকেঃ
টুইটারে এমা বেথগাল (২২) নামের এক ব্রিটিশ তরুণীর আবেগঘন পোষ্ট দেখে থমকে গেলাম।

এই ছবি পোষ্ট করে এমা বেথগাল লিখেছে–
“এই ছবিতে তিন জেনারেশন –আমার বাবা, ভাই, ভাইপো। আমার ভাইয়ের স্ত্রী যখন প্রেগন্যান্ট তখন সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের বাবা তাঁর পুত্রবধূর সেইফ ডেলিভারির কথা ভেবে আলাদা বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে চলে গিয়েছেন।

ভাইরাস সংক্রমণের আশংকা মাথায় রেখে বাবা আলাদা থাকছেন। বাবার স্যাক্রিফাইসিং এর কথা ভেবে কষ্ট পাই। আবার ভালোও লাগে– এই কঠিন ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় হল সামাজিক দুরত্ব।

ছবিতে ঘরের ভেতর জানালার পাশে নবজাতক শিশুকে কোলে নিয়ে বসে আছেন শিশুটির পিতা মিশেল। আর জানালার কাঁচের ওধারে দাঁড়িয়ে নাতির দিকে তাকিয়ে আছেন বৃদ্ধ দাদা।

করোনার আক্রমণ সিনিয়র সিটিজেনদের উপর বেশি বলে তারা সোশাল ডিসট্যান্স মেনটেইন করছেন। স্বেচ্ছায় নিজেদেরকে ঘরবন্দী করে নিয়েছেন। কিন্তু সদ্যোজাত নাতিকে দেখার লোভ দমন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি।

ছেলে মিশেল সিদ্ধান্ত নিলো, নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখেই দাদাকে দেখাবেন তাঁর প্রিয়নাতির মুখ। শিশুটির নাম রাখা হয়েছে ফাওলান।

শিশুটির বাবা মিশেল ছেলেকে হাতে তুলে ধরে আছেন। কাঁচের জানালার বাইরে দাঁড়িয়ে ঝুঁকে পড়ে প্রথমবারের মত অপলক নয়নে নাতির মুখ দর্শন করছেন দাদা।

আবেগে কেঁদে ফেললেন দাদা। বললেন, একদিন করোনাভাইরাস পৃথিবী থেকে চলে যাবে। সবকিছু আবার আগের মত হয়ে উঠবে। তখন তিনি নাতি ফাওলানকে কোলে নিয়ে সবুজ ঘাসের উপর হাঁটবেন। নাতিকে গল্প শোনাবেন।

একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। মানুষ আবার আগের মত হাসবে, স্বপ্ন নিয়ে বাঁঁচবে।

-শিশির

FacebookTwitter