বড়পুকুরিয়ার কয়লা চুরি হয়নিঃ হাবিব

অনরাইন ডেস্কঃ

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে চুরি বা দুর্নীতি হয়নি, সিস্টেম লসে পড়ার কারণে কয়লার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

দুদক কার্যালয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে, সাংবাদিকদের কাছে এমন দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হাবিব উদ্দিন আহমদ।

তবে, এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি, দুদক কর্মকর্তারা। খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সচিবসহ বুধবার মোট ৮ জনকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যাদের সবাই বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলার আসামি।

একই অভিযোগে আরো কয়েকজনকে কাল জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ টন কয়লা গায়েবের অভিযোগে, ১৯ জনকে আসামি কোরে মামলা করেছে, পেট্রোবাংলা। ওই কয়লার অর্থমূল্য, ২৩০ কোটি টাকা।

সাংবাদিকদের কাছে হাবিব উদ্দিন আহমদ আরও দাবি করেন, তারা কোনো দুর্নীতি করেননি এবং কয়লা চুরি হয়নি। তদন্তের পরই প্রমাণ হবে তারা দুর্নীতি করেছেন কি না। তিনি কয়লার এই সিস্টেম লসের বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা– নিরীক্ষারও দাবি জানান।

সূত্র আরো জানায়, এদিন সাবেক এই এমডি ছাড়াও আরও সাত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা হলেন- সাবেক দুই কোম্পানি সচিব আবুল কাশেম প্রধানিয়া ও মোশারফ হোসেন সরকার, মহাব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিস) মাসুদুর রহমান হাওলাদার, ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) অশোক কুমার হালদার, ব্যবস্থাপক (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন) আরিফুর রহমান, ব্যবস্থাপক (ডিজাইন, কন্সট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) জাহিদুল ইসলাম ও উপব্যবস্থাপক (সেফটি ম্যানেজমেন্ট) একরামুল হক।

এ ছাড়াও একই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আরো আটজনকে। এরা হলেন- মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, উপমহাব্যবস্থাপক এ কে এম খালেদুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন) মোরশেদুজ্জামান, উপব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) হাবিবুর রহমান, উপব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট) জাহেদুর রহমান, উপব্যবস্থাপক (ভেন্টিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সত্যেন্দ্র নাথ বর্মণ, ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) সৈয়দ ইমাম হাসান ও উপমহাব্যবস্থাপক (মাইন প্ল্যানিং অপারেশন) জোবায়ের আলীকে।

-আরবি

FacebookTwitter