ডা. বে-নজীর আহমেদঃ
এককালে আলকাতরা মানেই উড়োজাহাজ মার্কা আলকাতরা; এখনকারকালে সাবান মানেই লাইফ বয়, নড্যুউলস্ মানেই ম্যাগি, ইত্যাদি হইলো ব্রান্ডিং বা মগোজ ধোলাই।
ইহা অনেকটা সুর করিয়া নামতা পড়ার মত; বারংবার কোন জিনিস দেখিলে শুনিলে বা বলিলে মস্তিকে তাহার প্রভাব স্বস্ফুর্ত হয়, দীর্ঘস্থায়ী হয়।
আমার মনে পড়ে, বহুদিন পূর্বে একবার আলকাতরা ক্রয়ের প্রয়োজন পড়িলে দোকানে যাইয়া, উড়োজাহাজ মার্কা ব্যতিত অন্য কোন আলকাতরার কথা মনে পড়ে নাই। নিজের অজান্তেই উড়োজাহাজ মার্কা আলকাতরা চাহিলাম। ব্যবসায়ীগণ নিজের জিনিসের বিক্রিবাটা বাড়াইতে তাই কাড়ি কাড়ি অর্থ সম্পদ মেধামনন বিনিয়োগ করিয়া থাকে।
জনস্বাস্থ্যও ইহার ব্যতিক্রম নহে, কোন কর্মসূচী সফল করিতে হইলে তাই ব্রান্ডিং অনুরূপ প্রচার প্রচারনার সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচীও কালাজ্বর উচ্ছেদ করিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে মুক্ত বাংলাদেশের লক্ষ্যে প্রচার প্রচারনা সামাজিক আন্দোলন কার্যক্রম গ্রহন করিয়া আসিতেছে। তাহারই অংশ হিসাবে সম্প্রতি কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচী জ্যাকেট ব্রান্ডিং শুরু করিয়াছে; সাদা রংঙের জ্যাকেটের মোড়ক উন্মোচন করিলেন সিডিসির লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা। কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচীতে যুক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের লোগো যুক্ত জ্যাকেট পরিধান করিয়া কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচী, বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্থা এবং অ্যাসেন্ড সম্মিলিত ভাবে ময়মনসিংহ জেলার কালাজ্বর নির্মূলে বাহক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী কীট নাশক ছিটাই কার্যক্রম তত্বাবধান ও মূল্যায়ন করা হলো গত ৬ ও ৭ নভেম্বর।
অংশগ্রহনকারীগণের কালাজ্বর ব্রান্ডিং জ্যাকেট ময়মনসিংহ এবং ইহার বিভিন্ন উপজেলায় কালাজ্বর মুক্ত বাংলাদেশের আকাংখার বেশ খানিকটা উত্তাপ ছড়াইয়াছে। প্রত্যাশা করা যায় এই উত্তাপে আচঁ ধরিয়া রাখা গেলে কালাজ্বর মুক্ত বাংলাদেশ অর্জন সম্ভব হইবে। কালাজ্বর ব্রান্ডিং এর সাফল্য কামনায় বোধ করি কোন অমঙ্গল নাহি।
-কেএম