স্বাস্থ্যঃ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের তৈরী টিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও চীনা টিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এটি একটি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত।
এটি চীন ও বাংলাদেশের কোভিড-১৯ নিয়ে সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আগামী বুধবার (১২ মে) চীনের ৫ লাখ টিকা বাংলাদেশে আসবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সোমবার (১০ মে) একটি ভার্চুয়াল সংলাপ অনুষ্ঠানে এ সব বলেন। করোনা মহামারিতে বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতা নিয়ে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাব সদস্যদের সঙ্গে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে ডিক্যাবের প্রেসিডেন্ট পান্থ রহমান, জেনারেল সেক্রেটারি একেএম মইনুদ্দিনও বক্তব্য রাখেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত সকলকে রমজান মাসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ৫ লাখ টিকা ১২ মে (বুধবার) আসবে। চীন ২০০ মিলিয়ন টিকা বিশ্বের ৮০টি দেশে বিতরণ করেছে।
এতেই প্রমাণিত হয় বিশ্বে টিকা প্রদানে চীন নেতৃত্ব দিচ্ছে। চীন ও বাংলাদেশ দুই দেশেই অভিন্ন সংকটের মোকাবিলা করে আসছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ চীন থেকে বেশ কিছু চিকিৎসা সামগ্রী আনিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চীনের রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ মহামারি মোকাবিলায় একে অন্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে।
তাছাড়া দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ নিয়ে অলোচনা করেছে এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফর সম্পর্ক দৃঢ় করেছে।
এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমে যে যোগাযোগ বেড়েছে, তাতে দুই দেশের সম্পর্ক বেগবান হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, এ মহামারিতে বাংলাদেশ প্রথম ধাপ ভালোভাবে সামলেছে। ভাইরাস আমাদের কমন শত্রু। এটিকে একসঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।
তাইতো ২৭ এপ্রিল ৬ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা করোনা সহযোগিতায় একমত হয়েছেন। চীন ভারতকে এই ৬ দেশের মধ্যে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। চীন আন্তর্জাতিকভাবে টিকা পেতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, বিশ্বের কোনো দেশ নিজেকে আলাদা করে রাখতে পারবে না। মানবকল্যাণে সকলকে একসঙ্গে মহামারি মোকাবিলা করতে হবে। এ দিন দূরে নয় আমরা সকলেই এই সংকট থেকে পরিত্রাণ পারবে।
-ডিকে