করোনা সংবাদঃ
ঢাকার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে যে ১৩টি হাসপাতাল রয়েছে তার মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালের তালিকায় রয়েছে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল।
এসব হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা নিলে রোগীকে বিল দিতে হয় না, সরকারই সে বিল মেটায়।
তবে এক করোনা রোগীকে এক লাখ ৭০ হাজার ৮৭৫ টাকার একটি বিল ধরিয়ে দিয়েছে হাসপাতালটি। মঙ্গলবার বিকেলে চিকিৎসকের ছাড়পত্র মিললেও বিলের জন্য রোগীকে আটকে রেখেছিলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে রাত ১০টার দিকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান রোগী সাইফুল ইসলাম।
২৩ মে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি হন সাইফুল রহমান। মঙ্গলবার (২ জুন) তিনি হাসপাতাল থেকে রিলিজ নেন। এই ১১ দিনে তার বিল ধরা হয় এক লাখ ৭০ হাজার ৮৭৫ টাকা।
ভুক্তভোগী সাইফুর রহমান বলেন, ‘গত ২১ মে আমার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। দুই দিন পর ২৩ মে আমি এই হাসপাতালে ভর্তি হই। আমি জানতাম এই হাসপাতালে সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসা করা হয়। রোগীদের বিল সরকার দেয়। এরা কেবল দু’টি এক্সরে আর দু’টি রক্তের টেস্ট করিয়েছে। ব্লাড টেস্ট দুইটিতে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে পড়ার কথা। সব মিলিয়ে দুই হাজার টাকার টেস্ট করানো হয়। আর দুইটি এক্সরে করেছে তারা।’
সাইফুর বলেন, ‘আমার কোনো অপারেশন করা হয়নি। আইসিইউতে ছিলাম না। অক্সিজেন দেওয়াও লাগেনি। কেবল নাপা আর গ্যাসের ট্যাবলেট দিয়েছে তারা। বাকি ওষুধ বাইরে থেকে কিনে খেয়েছি।’
সাইফুর রহমানের বিলের কাগজে দেখা গেছে, ২ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসকের বিল ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৭০০ টাকা, হাসপাতাল বিল এক লাখ ১৪ হাজার ৫৭০ টাকা, ইনভেস্টিগেশন বিল ১৯ হাজার ৪৭৫ টাকা, ওষুধের বিল পাঁচ হাজার ২২৬ টাকা ৮৫ পয়সা, এর সঙ্গে সার্ভিস চার্জ ১২ হাজার ৯০৩ টাকা। মোট এক লাখ ৭০ হাজার ৮৭৪ টাকা ৮৫ পয়সা। মোট বিল লেখা হয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার ৮৭৫ টাকা।’
এ ব্যাপারে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের পরিচালক ( প্রশাসন) ডা. ইহতেশামুল হক বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে যে চুক্তি আমাদের হয়েছিল সেটা গত ৩১ মে থেকে বাতিল করেছি। যে কারণে রোগীর চিকিৎসা ব্যয় তাদের বহন করতে হবে।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘টাকা নেয়ার সুযোগ নেই এই হাসপাতালের। কারণ এ হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা ফ্রি হওয়ার কথা। বুধবার বিষয়টি আমি দেখবো।’
-ডিকে