বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে সংসদে আসার আহ্বান মোজাম্মেলের

অনলাইনঃ

আজ সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে আকরাম খাঁ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু দুস্থ কল্যাণ সংস্থা ও খোকা শিল্পীগোষ্ঠীর আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মরণে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

মাহবুব হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন পাঠান এর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে, আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেন, ঐক্য ফ্রন্ট এবং বিএনপিকে রাজপথ ছেড়ে সংসদ সদস্যদের সংসদে যোগদান করা উচিত। সংখ্যায় কম হলেও জনগণের সমর্থরে প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সংসদে গিয়ে তাদের সুখ, দুঃখের কথা বলা উচিত।

জনগণের সমর্থনের প্রতি অনাস্থা সৃষ্টি করে একদিন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। যেমনটি এবারের নির্বাচনে বিএনপি একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হওয়া সত্বেও তাদের ভুল সিদ্ধান্ত এবং দুর্বলতার কারণে জনগণ থেকে প্রত্যাখিত হয়েছে।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এর প্রতি স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি একজন নির্লোভ, সজ্জন, সাহসী, বিশ্বাসী ও পরোপকারী জনবান্ধব নেতা ছিলেন। তিনি কখনো কোন কিছু চাওয়া পাওয়ার হিসাব করে রাজনীতি করেননি। তিনি যোগ্য বাবার প্রকৃত উত্তরসুরী ছিলেন। তিনি জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেমন আস্থাশীল ছিলেন তেমনি কর্মীদেরও আস্থাভাজন হয়ে উঠে ছিলেন। তিনি কখনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বেইমানী করেননি এবং ১১/১ এর কুশলতদের সাথে হাত মিলিয়ে কথা বলেননি। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যেমন ছিলেন অবিচল তেমনি তিনি ছিলেন দুঃসাহসীক। তিনি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন  সেই স্বপ্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, তিনি সেই নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েও আমাদের সাথে শপথ নিতে পারেননি। তিনি শপথের দিন আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। শপথ হয় আনন্দের কিন্তু এবারের শপথ ছিল আমাদের বেদনার, কারণ তার অকাল প্রয়াণে আমরা ছিলাম ব্যাতিত। কোটি কোটি নেতাকর্মীও তার চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারেনি বলেই সারা দেশব্যাপী ছিল হায় ওতাশ আর কান্নার রোল। তার মৃত্যুতে কাঁদছে দেশ। তিনি ছিলেন এক মৃত্যুহীন প্রাণ। তিনি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন হলো জাতীয় সংসদ হবে যুদ্ধাপরাধ ও রাজাকার মুক্ত। তিনি সেই প্রান্তেই জাতির পিতার কন্যার নেতৃত্বে গিয়ে ছিলেন বলেই আজকে একাদশ জাতীয় সংসদ যুদ্ধাপরাধ ও রাজাকারমুক্ত হয়েছে। তার এই স্বপ্নের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তরুণ প্রজন্ম এবং আগামী প্রজন্ম পথ চলবে এটাই আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আশা করি। কারণ আমরাও একদিন হয়তো থাকবো না। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন চিরায়িত হোক। এটাই হোক আজকে আমাদের শপথ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, সাংবাদিক নেতা কুদ্দুছ আফ্রাদ, দৈনিক বিজনেস ফাইল এর সম্পাদক অভি চৌধুরী, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, রোকন উদ্দিন পাঠান, রবিউল ইসলাম রবি, আব্দুল রাজ্জাক শাকিল, জাকারিয়া হানিফ, বিএম শফিকুল ইসলাম শফি, আতাউর রহমান আতা, শেখ সনিয়া, শেখ রিমা, এ আর সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

-এসএম

FacebookTwitter