অনলাইনঃ
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৯ উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। বুধবার (৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন নবনিযুক্ত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মাসব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য এই মেলা চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতি বছরের মতো এবারও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে থাকছে বাণিজ্য মেলার আয়োজনে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনু্যায়ী, মাসব্যাপী এই মেলা আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা।
এবারই প্রথম মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে। ফলে দর্শনার্থীরা ঘরে বসেই মেলার টিকিট সংগ্রহ করে মেলায় প্রবেশের বাড়তি ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী জানান, এবারের বাণিজ্য মেলাকে আরও দৃষ্টি নন্দন করতে প্রধান গেটটি মেট্রোরেলের আদলে তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন থিম থাকবে মেলাজুড়ে।
মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল ৪১২টি।
এ ছাড়াও মেলায় বিশেষ আকর্ষন রয়েছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, এবারের বঙ্গবন্ধু প্যাভিীলয়নটি আকারে অন্যবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তুলনামূলকভাবে অধিকতর সুন্দর, নান্দনিক, ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ রুপে প্রকাশ পেয়েছে। প্যাভিলিলয়নে বঙ্গবন্ধুর জীবন, ও কর্মভিত্তিক বিভিন্ন আলোকচিত্র শোভা পাচ্ছে। এ ছাড়া প্যভিলিয়নে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক ডকুমেন্টারী প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে।
এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।
পাশাপাশি এবারের মেলায় সবরকম অব্যবস্থাপনা রোধে মেলায় থাকবেন ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। সার্বক্ষণিক নজরদারি লক্ষ্যে থাকছে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যমেরা।
মেলার ভেতরে দর্শনার্থীদের জন্য খোলামেলা জায়গা থাকছে, যাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাঘুরি করতে পারেন। আর মেলার দুই প্রান্তে সুন্দরবনের আদলে ইকো পার্ক করা হয়েছে। থাকছে ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার (ডিজিটাল টাচ স্ক্রিন প্রযুক্তি), যার মাধ্যমে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা নির্দিষ্ট স্টল ও প্যাভিলিয়ন অতি সহজে খুঁজে বের করতে পারেন।