তথ্য প্রযুক্তিঃ
বাংলাদেশকে একটি ক্যাশলেস দেশে পরিণত করতে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ অনন্য সাধারণ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্নখাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
তাঁরা বলেন, ইলেক্ট্রনিক কেওয়াইসি প্রবর্তণসহ ডিজিটাল লেনদেনে মাত্র সাড়ে তিন বছরে যে অনন্য সাধারণ কৃতিত্ব ‘নগদ’ দেখিয়েছে তা নিঃসন্দেহে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
তিন বছর পূর্তিতে ‘নগদ’-কে শুভেচ্ছা জানিয়ে এমন সব মন্তব্য করেছেন তারা।
২০১৯ সালের ২৬ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘নগদ’-এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
তখন থেকেই ইলেক্ট্রনিক কেওয়াইসির মাধ্যমে হিসাব খোলার প্রচলন করে চমক সৃস্টি করে ‘নগদ’।
তারপর একে একে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে ‘নগদ’-এর নিবন্ধিত গ্রাহক এখন ছয় কোটির বেশী। বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করাসহ সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা দিচ্ছে ‘নগদ’।
‘নগদ’ তিন বছরের মধ্যে যে পরিমান অর্জন করতে পেরেছে এটি নিঃসন্দেহে যে কারো জন্যে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হবে বলে মনেকরেন মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, “প্রতিদিন সাতশ কোটি টাকার লেনদেন, ছয় কোটি মানুষকে গ্রাহক হিসেবে পাওয়া এবং একই সঙ্গে প্রাথমিক বৃত্তি অথবা উপবৃত্তি কিংবা সরকারের প্রণোদনাও গ্রাহক ‘নগদ’-এর মাধ্যমে পেয়েছে।
এই সামগ্রিক কার্যক্রমগুলোকে ত্রুটিহীনভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া–প্রায় অসাধ্য একটি কাজ। যেটি স্বক্ষমতার সাথে করেছে ‘নগদ’।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি কাগজের মুদ্রাবিহীন দেশে পরিণত করতে ‘নগদ’ অসাধারণ ভূমিকা পালন করছে এবং সামনের দিনেও তারা উদ্ভাবনী সেবার মাধ্যমে গ্রাহক আকৃষ্ট করতে স্বক্ষম হবে।
মাননীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “মাত্র তিন বছরে ছয় কোটিরও বেশি গ্রাহকের ‘নগদ’ সেবা গ্রহন বিশ্বে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
বিভিন্ন ধরণের ভাতা ও শিক্ষাবৃত্তিসহ করোনাকালীন সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জরুরি আর্থিক সহায়তা কর্মহীন পঞ্চাশ লক্ষ পরিবারের কাছে নির্ভুলভাবে, দ্রুততা এবং স্বচ্ছতার সাথে যার যার অ্যাকাউন্টে পৌঁছে অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে নগদ।”
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র জনাব মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নগদ’ ভবিষ্যতে লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অহংকার হবে।
দেশের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস খাতে স্বল্প সময়ে বড় রকমের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পেরেছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে ‘নগদ’।
‘নগদ’-এর ই-কেওয়িইসি’র উদ্ভাবন ইতিমধ্যে অনেক সরকারি বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান অনুসরণ করছে। যা আর্থিক ডিজিটালাইজেশনের পুরো গতিপথ বদলে দিয়েছে।
দেশের যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে *১৬৭# ডায়াল করে খুব সহজেই ‘নগদ’-এর অ্যাকাউন্ট খোলা যাচ্ছে। বিশ্বের বুকেই এটি এক বিরল ঘটনা।
গ্রামীণফোন লিঃ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জনাব ইয়াসির আজমান বলেন, ‘নগদ’-এর যাত্রার সময় থেকেই অনেক উদ্ভাবনী শক্তির আয়োজন ছিল।
বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান জনাব অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ‘নগদ’-এর সাফল্য কামনা করে বলেন, “করোনাকালে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সুলভে অর্থ স্থানান্তরে ‘নগদ’-এর ভূমিকা ছিল অনেক।”
‘নগদ’-কে শুভেচ্ছা জানিয়ে ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জনাব আলী রেজা ইফতেখার বলেন, “প্রান্তিক মানুষকে ব্যাংকিং সেক্টরে নিয়ে আসতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ছাড়া বিকল্প নেই।
ডাক বিভাগ এবং কিছু তরুণ উদোক্তার গড়ে তোলা ডিজিটাল পেমেন্ট সলুউশন ‘নগদ’ খুব অল্প সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে তাদের সেবা পৌঁছে দিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।”
স্যাটেলাইট চ্যানেল ডিবিসি নিউজ’র প্রধান সম্পাদক জনাব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলামের মতে, “আস্থা অভিজ্ঞতা এবং সততার অভাবে যখন বাংলাদেশের মানুষ ক্যাশলেস সোসাইটির অনেক সংস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সেই সময় ডাক বিভাগের সহযাত্রী হিসেবে ‘নগদ’ যাত্রা শুরুর মধ্য দিয়ে ক্যাশলেস সোসাইটি হিসেবে নিজেদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।”
ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব গোলাম মুর্শেদ বলেন, ফিনটেক ইন্ড্রাস্টি ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি মাইলফলক। আর ‘নগদ’ গোটা ফিনটেক ইন্ড্রাস্টিতেই নতুন মাইলফলক তৈরী করেছে।
‘নগদ’-এর সাশ্রয়ী সেবা বাজারে যেমন একচেটিয়াত্ব ভাঙতে স্বক্ষম হয়েছে তেমনি যেকোন মোবাইল থেকে সহজে অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা চালু, ফ্রি ইউটিলিটি বিল প্রদান, বাজারে প্রচলিত চার্জের অর্ধেক খরচে ক্যাশ-আউট করার সুবিধা গ্রাহকের কাছে ‘নগদ’-কে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
এছাড়া অর্থ মন্ত্রনালয়ের অর্থ সচিব জনাব আব্দুর রউফ তালুকদার, এটিএন নিউজ-এর প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নী সাহা, পাঠাও-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জনাব ফাহিম আহমেদ তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ‘নগদ’-কে শুভেচ্ছা জানান।
-শিশির