রাজনীতিঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৪ বছর সংগ্রামের পর দেশ স্বাধীন করার মাধ্যমে যে বিজয়ের আলোকবর্তিকা দিয়েছেন, তা নিয়ে সরকার সামনে চলতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১০ জানুয়ারি, শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ‘লোগো’ উন্মোচনের মাধ্যমে দেশব্যাপী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের ক্ষণগণনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে বিজয়ের আলোকবর্তিকা তিনি (বঙ্গবন্ধু) আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন, তা নিয়েই আমরা আগামী দিনে চলতে চাই।’
২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায়। এ বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সাথে চলবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর দেশে এক কালো অধ্যায় এসেছিল। সেই কালো অধ্যায় যাতে আর কোনোদিন দেশের মানুষের ওপর ছায়া ফেলতে না পারে, সে বিষয়ে প্রত্যেককে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ যেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে একে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে পারে, আজকের দিনে সেই কামনা করি। দেশ এখন উজ্জ্বল আলোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ইনশাল্লাহ, আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলব। এটা আমাদের প্রত্যয়।
সরকারপ্রধান বলেন, এটা দুর্ভাগ্য যে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেখানে বঙ্গবন্ধুকে চেষ্টা করেও হত্যা করতে পারেনি, সেখানে দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে তাকে জীবন দিতে হয়েছিল। যখন তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাস মুছে ফেলা হয়েছিল, জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আজকে সেই ভাষণ ইউনেসকো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
-ডিকে