সারাদেশঃ
টিকা ফুরিয়ে যাওয়ায় ফরিদপুরে আপাতত টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
নতুন করে টিকার বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান।
রোববার (৮ আগস্ট) দুপুর থেকে ফরিদপুর সদরের তিনটি কেন্দ্রে টিকা ফুরিয়ে যাওয়ায় এ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এছাড়াও সিভিল সার্জন অফিসের ডিপোতেও বরাদ্দকৃত টিকার মজুত শেষ হয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার দুপুর ১২টা থেকে প্রথমে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ধাপে ধাপে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর পুলিশ লাইন্স হাসপাতালের টিকা ফুরিয়ে যাওয়ায় টিকা দেয়া বন্ধ হয়ে যায়। জেলার অন্য উপজেলার টিকাও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
এদিকে, রোববার দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুর জেনালের হাসপাতালে টিকা নিতে এসে না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন টিকা প্রত্যাশীরা। যারা এসেছিলেন তারা সবাই টিকা পাওয়ার মেসেজও পেয়েছিলেন। কিন্তু এসে অপেক্ষার পর টিকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে গেছেন।
টিকা নিতে আসা অনেকের অভিযোগ নিবন্ধন করার টিকা গ্রহণের মেসেজ পেয়ে এসেছিলেন তারা। কিন্তু টিকা নিতে এসে দেখেন টিকা নেই। ভুক্তভোগীরা বলেন, টিকা নেই তাহলে আমাকে মেসেজ দিয়ে এনে ভোগান্তি করানোর মানে কী?
ফরিদপুর পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৮ আগস্ট) ওই হাসপাতাল থেকে ৬০০ জনকে টিকা দেয়া হয়। সিভিল সার্জনের ডিপো থেকে তাদের টিকা সরবরাহ করা হয়। কিন্তু সেখানেই টিকা নেই। নতুন করে টিকা যতদিন না আসবে ততদিন টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ফরিদপুরে এ পর্যন্ত দুই লাখ ২৯ হাজার ১২০ ডোজ টিকা এসেছে।
এগুলো সবই অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও সিনেফার্মার। টিকার বরাদ্দ চেয়ে নতুন করে চিঠি দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। টিকা আসা সাপেক্ষে ফরিদপুরে আবার টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।
-কেএম