অনলাইনঃ
আমরা অত্যন্ত উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, নির্বাচনী তফশীল ঘোষণ করার পরে এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেয়ার পরেও বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের মিথ্যা গায়েবী মামলায় গ্রেফতার এবং জামিন প্রদান না করবার প্রবনতা আরও বেড়েছে।
বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচনে বিরোধী দলের যে সব প্রার্থীর জয় লাভের সম্ভাবনা বেশী তাদেরকে গ্রেফতার করে আটক করা হচ্ছে এবং জামিন দেয়া হচ্ছেনা। নি¤œ আদালতে তাদের জামিন শুনতে নানা বিলম্ব করা হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে এবং নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করা হচ্ছে না।
সরকারী দলকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য এই গ্রেফতার আটক ও হয়রানী চলছে। টেলিফোনে বিভিন্ন সংস্থার নামে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং কোনও কোনও বিশেষ প্রার্থীকে ডেকে নিয়ে হুমকী দেওয়া হচ্ছে এবং চাঁদা দাবী করা হচ্ছে। এটাতে নির্বাচনের সকল পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এই ঘটনা গুলোতে প্রমাণিত হয় না যে, এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশন একটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশ গ্রহণ মূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে আন্তরিক।
বিরোধী দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক। বিশেষ করে বিরোধী দলের নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় ভাবে জামিন পাওয়ার পরেও মুক্ত করা হচ্ছে না। একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দেয়ার পর বিলম্ব করা হচ্ছে।
সিনিয়র নেতা সাবেক হুইপ, সংসদ সদস্য জনাব মুনিরুল হক চৌধুরী, জনাব লায়ন আসলাম চৌধুরী এফ.সি.এ, যুগ্ম-মহাসচিব-বিএনপি, হাবিবুন-নবী খান সোহেল, যুগ্ম মহাসচিব বিএনপি, এ্যাড. শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিশেষ সহকারী, বিএনপি চেয়ারপার্সন, যুবদলেরর সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দকে অটক করে রাখা হয়েছে। এটা অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগীতা মূলক নির্বাচনের জন্য অনুকুল নয়। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন ও সরকারের এবং এর দায় দায়িত্ব তাদের ওপরই বর্তায়।
আমরা অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ আটককৃত সকল নেতৃবৃন্দকে মুক্তি প্রদানের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
-আরবি