আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
পাকিস্তানে একটি নির্বাচনী সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে বেলুচিস্তানের এই বোমা হামলায় এক প্রার্থীসহ ৭০ জন নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন আরো ১২০ জন।
প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাইজ কাকার এই খবর নিশ্চিত করেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো দল এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
বেলুচিস্তানের মাস্তাং এলাকার আত্মঘাতী ওই বোমা হামলায় বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) নেতা ও প্রার্থী নওয়াবজাদা সিরাজ রাইসানি নিহত হয়েছেন। নিহত সিরাজ বেলুচিস্তানের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী নওয়াব আসলাম রাইসানির ছোটো ভাই।
ফাইজ কাকার জানান, আহতদের মাস্তাংয়ের ছয়টি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ৭০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহতদের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বেলুচিস্তানের সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক আসলাম তারিন এই হামলাকে আত্মঘাতী বলেছেন। তিনি জানান, আট থেকে ১০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরকসহ বিয়ারিং বল ব্যবহার করা হয়েছে এই হামলায়।
এর আগে আজ সকালে খাইবার পাখতুনখাওয়ায় প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী আকরাম খান দুরানির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ থাকলেও সেই হামলায় চারজন মারা গেঝেন। আহত হয়েছেন ৩২ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেও বিএপির আরেকটি সমাবেশে হামলায় দুজন আহত হন। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হায়দার আলী শিকহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিকেলে বিএপির নেতা নওয়াবজাদা সিরাজের ওই নির্বাচনী সমাবেশকে উদ্দেশ্য করেই আত্মঘাতী হামলা করা হয়েছে বলে জানা যায়। এই বছরের মার্চ মাসে বিএপি গঠিত হয়। তিনি আগে বেলুচিস্তান মুত্তাহিদা মাহাজ (বিএমএম) দলের প্রধান ছিলেন। এ বছর জুনে সিরাজের দল বিএপিতে যোগ দেয়।
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই পাকিস্তানে নির্বাচনী সংঘাত বেড়েই চলেছে। এর আগে গত ১০ জুলাই পেশোয়ারে আরেকটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) নেতা হারুন বিলোরসহ আরো ১৯ জন নিহত হন। পরে এই হামলার দায় স্বীকার করে তাহরিক-ই-তালিবান (টিটিপি)।
এদিকে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার ডেপুটি ডিরেক্টর ওমর ওয়ারিচ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনের সময় সব দলের প্রচারকাজে নিরপত্তা নিশ্চিত করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব। যাতে প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে নির্বাচনী কাজ করতে পারেন।
-আরবি