জাতীয় সম্পদঃ
পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশে আরও একটি মাইলফলক অর্জন করলো স্যানি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত, উপরে চার লেনের হাইওয়ে এবং নিচে একটি একক-ট্র্যাক রেলপথ সমৃদ্ধ এই রোড রেল সেতুতে ১২০টিরও বেশি স্যানি মেশিনের ব্যবহার হয়েছে।
স্প্যান ও মোট দৈর্ঘ্যের হিসেবে দেশের দীর্ঘতম এই সেতু দেশের জিডিপি ২-৩% বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী ২৫ জুন, ২০২২ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটির উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্যানি’র ব্যবস্থাপনা দলও উপস্থিত থাকবে।
স্যানি গ্রুপ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং স্যানি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান দীপাক গার্গ বলেন, “দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সংযোগ স্থাপন করতে যাওয়া পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের মতো একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রকল্পের অংশীদার হতে পারা স্যানি ও বাংলাদেশে স্যানি’র চ্যানেল পার্টনার পাওয়ারভিশন গ্রুপের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
এই সেতুর নির্মাণ কাজের সফল সমাপ্তি শুধুমাত্র স্যানি মেশিনের আন্তর্জাতিক মানকেই প্রতিফলিত করে না বরং এটি বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠতে আমাদের সাহায্য করেছে।
বাংলাদেশ হোক কিংবা বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে, জাতি গঠনের কাজ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় আমরা আমাদের দক্ষতা প্রমাণ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত এবং ভবিষ্যতেও এর অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে কাজ করতে চাই।”
অবস্থান ও আকারের বিচারে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল।
প্রযুক্তি, উৎপাদনশীলতা এবং কার্যকারিতার বিচারে সংশ্লিষ্ট শিল্পে স্যানি’র মেশিন অতুলনীয়, যা নির্মাণ প্রক্রিয়া চলার পথে আসা সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।
ভূমি ও পানির মধ্যে নির্মাণ যন্ত্রপাতির কৌশলের জন্য প্রয়োজন নির্ভুলতা এবং নিখুঁত সময়। মেশিন অপারেটররা সহজ চালচলন বৈশিষ্ট্য ও এরগোনোমিক ডিজাইনের মাধ্যমে এটি করে থাকেন, যার সাহায্যে কঠিনতম ভূখণ্ডেও সর্বোচ্চ কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করা যায়।
প্রকল্পটির জন্য ১২২ মিটার গভীরে পাইলিংয়ের প্রয়োজনীয়তা এবং উচ্চ জোয়ার পাইলিংয়ের কাজে অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ জুড়ে দিয়েছিল। কিন্তু স্যানি’র এসআর২৮৫আর ও এসআর২৩৫ পাইলিং রিগস দক্ষতার সাথে এই চ্যালেঞ্জিং মেগা প্রকল্পের পাইলিং চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।
স্বপ্নের এই প্রকল্পে ১৩টি ক্রলার ক্রেন, ২টি রাফ ট্যারেন ক্রেন, ৩টি টাওয়ার ক্রেন, ৪৫টি এক্সক্যাভেটর এবং ৫টি মোটর গ্রেডার ব্যবহার করা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন মেগা উন্নয়ন প্রকল্পে স্যানি’র মেশিন ব্যবহৃত হয়েছে, যাদের মধ্যে; ঢাকা বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্প, ঢাকা মেট্রো রেলওয়ে প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প, কক্সবাজার বিমানবন্দর প্রকল্প, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প এবং ঢাকা রিংরোড প্রকল্প উল্লেখযোগ্য। ঢাকা বিমানবন্দর প্রকল্পের জন্য স্যানি সর্ববৃহৎ আরএমসি প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে।
স্যানি’র ৩২০ টনের অধিক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ক্রলার ক্রেন এই প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত সবচেয়ে বড় ক্রলার ক্রেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের জন্য দেশের বৃহত্তম ব্যাচিং প্ল্যান্টও স্থাপন করেছে স্যানি।
প্রতিষ্ঠানটির ১৬০০টিরও বেশি মেশিন বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ভূমিকা পালন করছে।
-শিশির