অনলাইনঃ
৭টি বছর কেটে গেল। এখনো বিষাদের ছায়া সরেনি কোটি কোটি হুমায়ূন ভক্ত পাঠক-দর্শকের হূদয় থেকে।
নুহাশপল্লীর সবুজ মাঠ, দীঘি লীলাবতীর জল, ঔষধি বাগান, ছাতিম গাছের ছায়া, লেখার টেবিল, দেয়ালে টানানো প্রিয় ফটোগ্রাফি কিংবা বুক শেলফে সাজানো শতশত বই—সবই আছে সেই আগের মতোই।
শুধু নেই প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ। ২০১২ সালের আজকের এই দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, খ্যাতিমান কথাশিল্পী, চলচ্চিত্র-নাটক নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ।
এদিনে তারই হাতেগড়া নুহাশপল্লী সেজেছে বিষাদের সজ্জায়। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় করা হয়েছে বেশকিছু আয়োজন। থাকছে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
নুহাশপল্লীর আশেপাশের মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্র, পরিবারের সদস্য এবং হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ট কয়েকজন লেখকসহ ৫ শতাধিক লোককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে।
নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘আজকের কর্মসূচিতে অংশ নিতে হুমায়ূন আহমেদের দুই সন্তান নিষাদ ও নিনিতসহ স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন নুহাশপল্লীতে আসবেন। এছাড়া কথাসাহিত্যিকের পরিবারের লোকজন, ভক্ত, বন্ধুরা কবর জিয়ারত ও মিলাদে অংশ নেবেন।’
প্রতি বছরের ন্যায় এবারো প্রিয় লেখকের কবর জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে বিপুলসংখ্যক মানুষ নুহাশপল্লীতে আসবেন। আগত অতিথিদের জন্য আপ্যায়নের আয়োজনও করা হয়েছে। নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক জানান, দিনটি ভাব-গাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে পালন করা হবে।
-কেএম