ডেস্ক রিপোর্টঃ
আগামীকাল ১৯ জানুয়ারি আমরা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক স্কোয়াড-এর প্রথম জাতীয় সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়েছে।
১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ১০১ জন বরেণ্য নাগরিক কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক ঘোষণার মাধ্যমে সূচিত হয়েছিল একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অভিযাত্রা।
বহু বাধাবিঘ্ন, জেল-জুলুম-হত্যা মোকাবেলা করে গত তিন দশকে নির্মূল কমিটি ধর্মনিরপেক্ষ মানবিক রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের বৃহত্তম নাগরিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে এবং বিস্তার লাভ করেছে পাঁচটি মহাদেশে।
৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আমরা নির্মূল কমিটির সাংস্কৃতিক স্কোয়াডকে শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামোর উপর দাঁড় করাতে চাই, যাতে স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে বাঙালির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রসারে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
এই উদ্দেশ্যে আমরা ১৯ জানুয়ারি (২০২৩) নির্মূল কমিটির সকল জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন/প্রাতিষ্ঠানিক শাখার সঙ্গে যুক্ত সংস্কৃতিসেবী ও কর্মীদের সম্মেলন আহ্বান করেছি।
দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বাঙালিত্বের চেতনাদীপ্ত ধর্মনিরপেক্ষ মানবতার সাংস্কৃতিক আন্দোলন তৃণমূলে সম্প্রসারিত করার কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
১৯ জানুয়ারি সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আসাদুজ্জামান খান এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ এমপি।
সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নরওয়ের লোকসঙ্গীত গবেষক, লেখক ও আলোকচিত্রশিল্পী ওয়েরা সেথের।
এই অনুষ্ঠানে আপনার উপস্থিতি আমাদের তরুণ কর্মী ও সংগঠকদের অনুপ্রাণিত করবে।
অনুষ্ঠানসূচি:
উদ্বোধনী অধিবেশন: সকাল ১০টা
সকাল ১০টা নির্মূল কমিটির সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের শিল্পীবৃন্দের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন নরওয়ের লোকসঙ্গীত গবেষক, লেখক ও আলোকচিত্রশিল্পী ওয়েরা সেথের। এরপর আলোচনা সভা। আলোচনা সভার প্রারম্ভে লালনগীতি, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুল গীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশন করবেন নির্মূল কমিটির সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের শিল্পীবৃন্দ।
উদ্বোধনী অধিবেশনে সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউট সাম্মানিক সভাপতি, নাট্যজন বীর মুক্তিযোদ্ধা রামেন্দু মজুমদার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি, শিক্ষাবিদ শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি, চলচ্চিত্রনির্মাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট-এর সভাপতি, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুস এবং ফরিদা পারভীন ফাউন্ডেশনের সভাপতি, সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইটি সেল-এর সভাপতি, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর।
মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি: দুপুর ১টা- ২টা
দ্বিতীয় অধিবেশন: দুপুর ২টা- বিকেল ৫টা
প্রতিনিধি সম্মেলন: একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা/উপজেলা প্রতিনিধিদের বক্তব্য কন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পর্যালোচনা ও সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নাম ঘোষণা।
সভাপতিমণ্ডলী: স্বাধীন বাংলা বেতারের কণ্ঠশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষাল, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, যাত্রাশিল্পী মিলন কাস্তি দে, আবৃত্তিশিল্পী মো: শওকত আলী ও সমাজকর্মী কাজী মুকুল।
সঞ্চালক: প্রামাণ্যচিত্রনির্মাতা পিন্টু সাহা।
চা-বিরতি: বিকেল ৫টা-সাড়ে ৫টা
তৃতীয় অধিবেশন: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
উপস্থাপক: কণ্ঠশিল্পী জান্নাত-এ-ফেরদৌসী এবং চারুশিল্পী ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী।
সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান:
অংশগ্রহণকারী: আবৃত্তিশিল্পী মো: শওকত আলী, নৃত্যশিল্পী তামান্না রহমান, কণ্ঠশিল্পী শাহরুখ কবির, কণ্ঠশিল্পী ফয়সাল হাসান তানভীর, কণ্ঠশিল্পী রশীদ আল হেলাল, কণ্ঠশিল্পী এরফান হোসেন, কণ্ঠশিল্পী সন্ধিদেব ঈশি, কণ্ঠশিল্পী মুমিতা জেরিন নীলাভ, কণ্ঠশিল্পী অনন্যা কর্মকার, কণ্ঠশিল্পী তানজিনা খান শ্রেষ্ঠা, কণ্ঠশিল্পী তাসমিয়া খান অন্বেষা, কণ্ঠশিল্পী রাব্বি, কণ্ঠশিল্পী কুলসুম আক্তার, কণ্ঠশিল্পী শ্রাবণী সাহা টুসী, কণ্ঠশিল্পী সুরাইয়া মোজাম্মেল, কণ্ঠশিল্পী ফারহানা হাফিজ, কণ্ঠশিল্পী কবিতা বিশ্বাস, কণ্ঠশিল্পী রানু কর্মকার, কণ্ঠশিল্পী অরুণা চক্রবর্তী, কণ্ঠশিল্পী সাথী মুখার্জী, কণ্ঠশিল্পী গোলাম মওলা, কণ্ঠশিল্পী মিতু হাজং, কণ্ঠশিল্পী বিপ্লবী কর্মকার, কণ্ঠশিল্পী শর্মিষ্ঠা চৌধুরী, কণ্ঠশিল্পী শংকরী মিত্র, কণ্ঠশিল্পী শায়লা ইমাম কান্তা, কণ্ঠশিল্পী সুজন কুমার বেদ, যন্ত্রশিল্পী প্রদীপ কুমার রায়, যন্ত্রশিল্পী নারায়ন চন্দ্র রায়, কণ্ঠশিল্পী লিপি দেবনাথ, কণ্ঠশিল্পী বিজয় চন্দ্র রায়, কণ্ঠশিল্পী আতোয়ার আশু, কণ্ঠশিল্পী নয়ন চন্দ্র রায়, কণ্ঠশিল্পী অন্তর রায়, কণ্ঠশিল্পী অরুন রায়, যন্ত্রশিল্পী সজিব রায়, কণ্ঠশিল্পী হাবিবা খাতুন, কণ্ঠশিল্পী সূচনা বেদ, কণ্ঠশিল্পী সাথী রানী বেদ এবং সুরতীর্থ’র শিল্পীবৃন্দ।
যাত্রাপালা: ‘গঙ্গা থেকে বুড়িগঙ্গা’ (অংশবিশেষ) পরিবেশনায় দেশ অপেরা।
অংশগ্রহণকারী: মিলন কান্তি দে, এম আলীম, এম আলম লাভলু, আলী নূর, রেখা রানি গুণ, মাহজাবিন গোধূলী, আব্দুর রশিদ এবং পারুল আক্তার।
-শিশির