করোনা সংবাদঃ
ম্যাক্স হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. এএসএম লুৎফুল কবির শিমুল, পাশাপাশি তিনি ওই হাসপাতালের একজন শেয়ার হোল্ডারও।
কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এই চিকিৎসক।
জানা গেছে, গত কিছুদিন তিনি ডেপুটেশনে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। সেখানে কর্মরত থাকাকালে গত ১৩ মে তার মধ্যে শারীরিক অসুস্থতা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। পরে তিনি করোনা পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হন।
ঘটনার ১৫ দিন পর করোনামুক্ত হয়ে বঞ্চনার কথা জানালেন ডা. এএসএম লুৎফুল কবির শিমুল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেছেন বিস্তারিত ঘটনা।
তিনি লিখেছেন, অপ্রিয় সত্যকথন, কেউ আঘাত পেলে পাক। আমি তখন খুবই অসুস্হ, অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০ এর নিচে নেমে যাচ্ছে। প্রথম কোভিড টেস্ট নেগেটিভ আসার পরেও দ্রুত স্যাচুরেশন নেমে যাওয়ায় আমি চিন্তা করেছিলাম এটা কোভিড হতে পারে। আমি জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হবার ব্যাপারে একটু দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম। চিন্তা করলাম আমার হাসপাতাল (ম্যাক্স হাসপাতাল) কেবিনে ভর্তি হয়ে অক্সিজেন নেব। পরে আরেকটি স্যাম্পলের ফলাফল আসলে চমেক বা জেনারেলে ভর্তি হব। ঐ প্রতিষ্ঠানের এমডি মিথ্যা কথা বলে আমাকে ভর্তি নিতে চাইলেন না। বিক্ষিপ্ত এবং এলোমেলো কথা বলে ফোন কেটে দিলেন। একটা অক্সিজেন সিলিন্ডারও দিলেন না। পরবর্তীতে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাসায় অক্সিজেন পাঠালেন, আইভি ক্যানুলেশন করালাম ওখানে। ওনারা কেবিনও প্রস্তুত রেখেছিলেন আমার জন্য। যদিও ওখানে ভর্তি হইনি। পরদিন চমেকে ভর্তি হলাম। আমার জন্মস্হান চমেক হাসপাতাল, আমার মা বলতেন, পেয়িং বেডে আমি আমার মায়ের সাথে ছিলাম। আমি নিশ্চিত ছিলাম, আল্লাহর রহমতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আমাকে খালি হাতে ফেরাবে না।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা ও তার চিকিৎসক বন্ধু-শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রচণ্ড সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেয়েছেন বলে জানান এএসএম লুৎফুল কবির শিমুল।
ক্ষোভের কথা জানিয়ে তিনি আরো লিখেছেন, কয়েকটি কৃমিকীটকে আমি ক্ষমা করে দিতে চাই। করোনা মানুষ চেনাবে। করোনার শিক্ষা যদি বেঁচে থাকি কাজে লাগাবো। আমার টু পারসন আর্মি ছিল। আমার স্ত্রী, একহাতে সব সামলেছে, ছয়বার সিবিজি করা, হেপারিন দেয়া, সারারাত জেগে স্যাচুরেশন দেখা, কোরআন পড়া, ডাক্তারদের, নার্সদের সহায়তা করা সব করেও সে ছিল অবিচল।
-এবি