নারী প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে সাকিব মুশফিক

স্পোর্টসঃ

দেশজুড়ে একের পর এক ঘটে চলেছে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা। একটি ঘটনার সংবাদের রেশ কাটতে না কাটতেই জানা যাচ্ছে আরেকটি ভয়াবহ ঘটনার সংবাদ। এতে জনমনে ক্ষোভ-আতঙ্ক-হতাশা ছড়িয়ে পড়ছে।

এরই মাঝে দেশের নানা স্থানে এসব ঘটনার প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনসহ নানা প্রতিবাদী কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

এবার এসব প্রতিবাদের সাথে সামিল হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।

গতকাল ৬ অক্টোবর, মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল পেজে দেয়া এক পোস্টে সাকিব লিখেছেন, “চমৎকার একজন নারীর ছেলে আমি, জীবন চলার পথে স্ত্রী হিসেবে পেয়েছি অপূর্ব একজন নারীকে, দারুণ একজন নারীর ভাই আমি আর দুটি ফুটফুটে কন্যার বাবা আমি।

এক শ্রেণির বর্বর মানুষ বয়স, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে নারী ও শিশুদের প্রতি প্রতিদিনই যে জঘন্য অন্যায় করছে তারপর আমি আর চুপ থাকতে পারিনা। আমার অবস্থান তাই সব ধরনের ঘৃণা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে।

একে অপরের অধিকার রক্ষা ও আদায়ের জন্য আমাদের চালিয়ে যেতে হবে লড়াই, ঠিক যেভাবে আমাদের অধিকার নিশ্চিত করতে লড়েছিলেন আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা।

আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই নৈতিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করি এবং আমাদের নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করি যাতে তারা স্বপ্ন দেখতে পারে এবং নির্ভয়ে তাদের জীবনযাপন করতে পারে। মনে রাখবেন, আজকে আমরা যদি এই বর্বর এই আচরণ ও মানসিকতার বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়াই়, তবে একদিন আমাদের প্রিয়জনদের একজনই হতে পারে এই নির্মমতার ভুক্তভোগী।”

ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সবাইকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে গতকাল নিজের ফেসবুক পেইজে মুশফিক লেখেন, ‘‘আমরা আর চুপ করে থাকতে পারি না। ধর্ষণ বা যে কোনো ধরণের যৌন নির্যাতন কখনোই মেনে নেয়া যাবে না। সমাজে এর কোনো স্থান নেই। জেগে ওঠো বাংলাদেশ। ধর্ষণকে না বলুন। না মানে না।”

প্রসঙ্গত, ৪ অক্টোবর, রবিবার সকালে ফেসবুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পরে। ওইদিন রাতেই বেগমগঞ্জ থানায় ৯ জনকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। পর্নোগ্রাফি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দুটি দায়ের করা হয়।

মামলার এজাহারে তিনি জানান, ঘটনার দিন (২ সেপ্টেম্বর) বাদল ও দেলোয়ারসহ বাকীরা তার স্বামীকে বেঁধে রাখে এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে তারা।

এরপর গত এক মাস ধরে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে অনৈতিক প্রস্তাবও দেয় আসামিরা। তাদের সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়ে দেয় তারা।

-কেএম

FacebookTwitter