জাতীয়ঃ
জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতাকে সম্মাননা দেবে সরকার। আজ সোমবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এ বছর বরিশালের হাছিনা বেগম নীলা, বগুড়ার মিফতাহুল জান্নাত, পটুয়াখালীর মিফতাহুল জান্নাত,টাঙ্গাইলের রবিজান ও নড়াইলের অঞ্জনা বালা বিশ্বাস শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে সম্মাননা পাচ্ছেন। তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হবে।
অর্থনৈতিক অঙ্গনে সাফল্যের জন্য বরিশাল বিভাগ থেকে বরিশাল জেলার হাছিনা বেগম নীলা জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা পাচ্ছেন। তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী।
শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার মিফতাহুল জান্নাত পাচ্ছেন এ সম্মাননা। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এই নারী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসএস পড়ছেন।
সফল জননী হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা পাচ্ছেন বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার মোসাম্মৎ হেলেন্নছা বেগম। তিনি তার ছয় ছেলে ও তিন মেয়ের সবাইকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। তার বড় ছেলে পুলিশের একজন অতিরিক্ত আইজিপি, মেজ ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, একজন আছেন বিদেশে উচ্চ শিক্ষায়।
নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করে সাফল্য পাওয়া টাঙ্গাইল জেলার রবিজান জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা পাচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন খুলনা বিভাগের নড়াইল জেলার অঞ্জনা বালা বিশ্বাস। তিনি নারীদের সেলাই ও হাতের কাজের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার জন্য ১৯৭৫ সালে মাতৃকেন্দ্র নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
আরও পড়ুন:
নারী দিবসের অনুষ্ঠানটি শিশু একাডেমি মিলনায়তন থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
-কেএম