সারাদেশঃ
পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ ও কক্সবাজারে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ অতি প্রবল হয়ে সাইক্লোন রূপ ধারণ করায় এই সংকেত দেয়া হয়। এছাড়া সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৮ নভেম্বর, শুক্রবার রাতে বিআইডব্লিউটিএ এ ঘোষণা দেয়।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় পয়রা সমুদ্রবন্দর এলাকা থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল এই সাইক্লোনটি।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সাইক্লোন বুলবুল ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে দেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, ‘পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এই ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চল।
এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর অঞ্চল। তবে কক্সবাজার থাকবে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেতের আওতার মধ্যে রয়েছে।’
এর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছিলেন, ‘কাল সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে এ সাইক্লোন বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।’
সাইক্লোন ‘বুলবুল’র কারণে দুর্যোগ মোকাবিলায় শুক্রবার ছুটির দিনেও দুর্যোগ মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলো জরুরি সভা করেছে।
দুর্যোগ-পরবর্তী চিকিৎসাসেবার জন্য মেডিকেল টিম গঠনসহ দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ-পরবর্তী সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে উপকূলীয় জেলা প্রশাসনগুলো। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ২২টি মন্ত্রলণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়।
-কেএম