ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান
গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান

সারােদশঃ
গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার (৫০) করা হয়েছে।

গাইবান্ধায় ন্যাশনাল সার্ভিসের এক কর্মীকে (৩৫) ধর্ষণ ও তার ভিডিও ধারণ করে ভাইরালের ভয় দেখিয়ে অনুরূপ কার্যক্রম চালানোর অভিযোগে

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ।

তিনি সদর উপজেলার ১ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মালিবাড়ির বকসির খামার গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও নির্যাতিতা গৃহবধূর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৩ মার্চ চেয়ারম্যানের কাছে প্রত্যয়ন নিতে যায় ওই গৃহবধূ।

এ সময় চেয়ারম্যান কৌশলে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। পরে বিভিন্ন সময় ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে চেয়ারম্যান বাদল।

শুধু তাই নয় গত ১১ নভেম্বর ধর্ষিতার বাড়িতে গিয়ে তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে আপত্তিকর অবস্থায় লক্ষ্মীপুরের বামুনীপাড়ার এলাকাবাসী চেয়ারম্যানকে আটকের চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার মামলা রেকর্ডকারী কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান। গৃহবধূ ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছে। আজ ২৫ নভেম্বর (বুধবার) ভুক্তভোগীর মেডিকেল টেস্ট সম্পন্ন হবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৭ সালে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল এই ইউপি চেয়ারম্যান। সে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

-ডিকে

FacebookTwitter