আন্তর্জাতিকঃ
তুরস্কের ড্রোন হামলায় সিরিয়ার ১৯ জন সেনা নিহত হয়েছে।
১ মার্চ, রবিবার সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালায় তুরস্ক। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার তুর্কি–সমর্থিত বিদ্রোহীরা সিরিয়ার সেনাবাহিনীর হাত থেকে সারাকেব পুনরায় দখলে নেয়ার ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণার পর ইদলিবে সিরীয় বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৩ জন তুর্কি সেনা নিহত হয়। এতে করে অঞ্চলটিতে উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়। এই জেরে ধরে তুর্কি সেনারা সিরিয়ার দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে।
রবিবার সিরিয়ার জেটের দুজন পাইলটকে প্যারাস্যুটের মাধ্যমে নিরাপদে ইদলিব প্রদেশে নামানো হয়। ইদলিবে তুর্কি বাহিনী ও বিদ্রোহীরা সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে।
এতিকে তিনটি তুর্কি ড্রোন ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছে সিরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানায়, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমের আকাশসীমা তারা বন্ধ করে দিচ্ছে এবং কোনো উড়োজাহাজ এই সিদ্ধান্ত মেনে না চললে সেটাকে শত্রুভাবাপন্ন উড়োজাহাজ বিবেচনা করে অবশ্যই ভূপাতিত করা হবে।
ইদলিবে বিদ্রোহীদের পৃষ্ঠপোষক তুরস্ক জানায়, তারাও সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা সিস্টেম এবং ডজন ডজন ট্যাংককে হামলার লক্ষ্যবস্তু করে রেখেছে।
এসওএইচআর জানায়, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় ১০০ জন সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও তাদের সমর্থক যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
সিরীয় বাহিনী জিহাদি গ্রুপ ও তুর্কি–সমর্থিত বিদ্রোহী বাহিনীর কাছ থেকে ইদলিব পুনরায় দখল করার চেষ্টা করছে। ইদলিব হচ্ছে সবশেষ প্রদেশ, যেখানে বিদ্রোহীদের আধিপত্য এখনো রয়েছে।
ইদলিবে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলা এই সংঘাতের কারণে সিরিয়ার প্রায় ১০ লাখ নাগরিক বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। এই যুদ্ধের কারণে ওই অঞ্চলে ‘রক্তগঙ্গা’ বয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ।
এমতাবস্থায় আগামী সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বৈঠক হওয়ার কথা।
-কেএম