অনলাইন ডেস্কঃ
মাদারীপুরের একটি কোচিং সেন্টারে এক ছাত্রীকে তিন দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক রফিকুলের বিরুদ্ধে।
ঘটনা প্রকাশ হবার পর থেকে পালিয়ে আছেন অভিযুক্ত কোচিং শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকার ওই কোচিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার রাতে কোচিং সেন্টার থেকে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, শহরের কলেজ রোড এলাকার মজিবুর খানের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং করায় রফিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষক।
কোচিংয়ের সূত্রে ধরে নির্যাতিত ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় রফিকুলের। রোববার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে কোচিং সেন্টারের এক রুমে ডেকে নেয়। পরে তাকে আটকে রেখে তিনদিন ধরে ধর্ষণ করে।
মঙ্গলবার রাতে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসে। এ সময় পালিয়ে যায় কোচিং শিক্ষক রফিকুল।
নির্যাতিত ছাত্রী বলেন, বিয়ের কথা বলে ডেকে এনে তিনদিন ধরে আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে রফিক স্যার। কোচিংয়ের সময় আমাকে স্যারের গোপন রুমের মধ্যে আটকে রাখত। কারও সঙ্গে কথা বলতে দিত না। এমনকি আমার মোবাইলও নিয়ে যায় স্যার।
মাদারীপুর সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কোচিং শিক্ষক রফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। ওই শিক্ষকের কোচিং সেন্টার থেকে কয়েকটি কনডম উদ্ধার করা হয়েছে। ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষার পরে বিস্তারিত জানা যাবে।
-পিকে