অনলাইনঃ
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুক চিড়ে মেট্রোরেল চাই না’- এই দাবিতে আজ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে দিনব্যাপী অনলাইন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
প্রতিবাদ কর্মসূচীর শুরুতে সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মন তমা- এক বার্তায় সকল শিক্ষার্থীকে অনলাইন প্রতিবাদে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ বার্তায় আরও বলেন- “ছাত্রদের সমস্ত দাবিকে অগ্রাহ্য করে সরকার-প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেট্রোরেলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ২০১৬ সালের আন্দোলন থেকে বলেছিলো, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুক চিড়ে মেট্রোরেলের রুট চাই না।মেট্রোরুট শাহবাগ- মৎস্য ভবন হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত নেয়াটা যৌক্তিক। কারন শাহবাগ থেকে হাইকোর্ট পর্যন্ত অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান-স্থাপনা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জাতীয় যাদুঘর, গণ-গ্রন্থাগার,চারুকলা অনুষদ,কবি নজরুলের সমাধী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, রাজু ভাস্কর্য,টিএসসি, পুষ্টি বিজ্ঞান অনুষদ,উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, বাংলা একাডেমী,সায়েন্স লাইব্রেরী, কার্জন হল সহ অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান।
এই প্রতিষ্ঠান- স্থাপনাগুলোর যেমন একাডেমিক গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি রয়েছে ইতিহাস-ঐতিহ্যগত গুরুত্ব।
চারুকলাকে কেন্দ্র করে পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা আর বাংলা একাডেমির বইমেলা আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রাজু ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করে ছাত্ররা সমবেত হয়,অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। টিএসসি মুক্ত চিন্তা চর্চার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।
মেট্রোরেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে গেলে এর জন-পরিসর নষ্ট হবে।এর দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল হবে ভয়াবহ। নষ্ট হবে শিক্ষার পরিবেশ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। ইতিমধ্যেই টিএসসিতে স্টেশন স্থাপন করার জন্য রাস্তার দুপাশের অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। একদিকে মেট্রোরেল অন্যদিকে টিএসসিতে মেট্রো স্টেশন। এ যেন মড়ার ওপর খাড়ার ঘা।
নির্মান কাজের জন্য বায়ুদূষণ মারাত্মক আকার ধারন করেছে। ফলে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য হুমকিতে পড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। মেট্রোরেল চালু হলে এর ভয়াবহতা আরও বাড়বে।”
পরিশেষে নেতৃবৃন্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে মেট্রোরুট বাতিলের দাবিতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
-ডিকে