পিকনিক এবং বেড়ানোর পরিকল্পনা করে থাকলে এই পোস্ট আপনার জন্য
লাইফস্টাইলঃ
শীত আর ছুটি মানেই পিকনিক আর বেড়ানোর সময়। বছরের এই সময়টায় বন্ধু-বান্ধব, স্কুল, কলেজ, অফিসের লোকজন ব্যস্ত হয়ে যায় পিকনিক আয়োজন নিয়ে।
দেশের জনপ্রিয় পিকনিক স্পট এবং রিসোর্টে পিক টাইম থাকায় কয়েক মাস আগে অগ্রিম বুকিং না দিলে নির্দিষ্ট দিনে খালী পাওয়া কঠিন । অনেক স্পট /রিসোর্ট আছে এগুলো ২/৩ মাস আগে থেকে অগ্রিম বুকিং দিতে হয়।
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান গাজীপুরঃ
সরকারি পিকনিক স্পটগুলোর মধ্যে অন্যতম গাজীপুরের এ ভাওয়াল উদ্যান। চত্ত্বর গাজীপুর সদর ও শ্রীপুর থানা জুড়ে অবস্থিত ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। খেলাধুলার জন্য রয়েছে বড় একটি মাঠ। তাছাড়া রয়েছে এখানে একটি চিড়িয়াখানা। পৃথিবীর অন্যান্য জাতীয় উদ্যানের আদলে ৬,৪৭৭ হেক্টর জমিতে ১৯৭৩ সালে এ উদ্যান সরকারিভাবে গড়ে তোলা হয়। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের মূল উদ্ভিদ হলো শাল। এছাড়াও নানারকম গাছ-গাছালিতে পরিপূর্ণ এ উদ্যান। জাতীয় উদ্যানের ভেতরে বেশকয়েকটি বনভোজন কেন্দ্র, ১৩টি কটেজ ও ৬টি রেস্ট হাউস রয়েছে। উদ্যানে প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৬ টাকা। এছাড়া পিকনিক স্পট ব্যবহার করতে হলে, বন বিভাগের মহাখালী কার্যালয় থেকে আগাম বুকিং দিয়ে আসতে হবে।
সফিপুর আনসার একাডেমি গাজীপুরঃ
জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় অবস্থিত আনসার-ভিডিপি একাডেমির বিশাল চত্বর বেড়ানোর জন্য একটি উপযুক্ত যায়গা। অনুমতি সাপেক্ষে বনভোজন করারও ব্যবস্থা আছে এখানে।
নুহাশপল্লীঃ
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের বাগানবাড়ি ও শুটিং স্পট। প্রায় ৯০ বিঘা জায়গা নিয়ে এই নন্দন কাননে আছে একটি ছোট আকারের চিড়িয়াখানা, শান বাঁধানো ঘাটসহ একটি বিশাল পুকুর, দৃষ্টিনন্দন কটেজ, ট্রি হাউস বা গাছবাড়িসহ আরো অনেক আয়োজন। নুহাশ পল্লীর ভেতরের বিশেষ আকর্ষণ হলো এর ঔষধি গাছের বাগান। এত সমৃদ্ধ ঔষধি বাগান এদেশে বিরল। সবমিলিয়ে নুহাশপলস্নী একটি ছবির মতো সাজানো-গোছানো এক প্রান্তর, যেখানে গেলে ভালো লাগবে সবার। ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই তিনমাস বনভোজনের অনুমতি মেলে নুহাশপল্লীতে।
রাঙ্গামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট গাজীপুরঃ
গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত আরেকটি রিসোর্ট ও বনভোজন কেন্দ্র রাঙ্গামাটি। এখানে আছে বনভোজন কেন্দ্র, লেকে মাছ ধরা ও বেড়ানোর ব্যবস্থা এবং কটেজে অবকাশ যাপনের ব্যবস্থা।
আফরিন পার্ক রিসোর্ট গাজীপুরঃ
জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে গাজীপুর-ময়মনসিংহ সড়কের পাশেই আফরিন পার্ক রিসোর্ট। নানান গাছ-গাছালিতে ঘেরা এ পার্কে আছে বিশাল শান বাঁধানো পুকুর, লেকে নৌকায় বেড়ানোর ব্যবস্থাসহ অবকাশ যাপনের জন্য রিসোর্ট।
উৎসব পিকনিক স্পট গাজীপুরঃ
ঢাকা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের হোতাপাড়ার কাছেই এ বনভোজন কেন্দ্রটি। উৎসব পিকনিক স্পটে আছে খোলা চত্বর, কয়েকটি কটেজ ও ট্রি হাউজ। ঢাকার ফুলবাড়িয়া থেকে শ্রাবণ পরিবহনে এসে নামতে হবে হোতাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে। ভাড়া ৩৫ টাকা। সেখান থেকে রিকশায় দশ টাকা ভাড়া উৎসব পিকনিক স্পট পর্যন্ত।
পুষ্পদাম পিকনিক স্পট গাজীপুরঃ
ঢাকা থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে গাজীপুর জেলার বাঘের বাজারে পুষ্পদাম অবস্থিত। এখানে বিশাল পরিসরে রয়েছে দেশি-বিদেশি বাহারি গাছের সমাহার। প্রবেশপথেই রয়েছে বিশাল দেবদারু গাছের সারি। এ পথ পেরিয়ে একটু ভেতরে ঢুকলেই রয়েছে ফুলে ফুলে ঘেরা কয়েকটি কটেজ। এখানে রয়েছে বিশাল খেলার মাঠ, কৃত্রিম লেক, ঝরনা ও সুইমিংপুল। পর্যাপ্ত রান্নাঘর, টয়লেট ছাড়াও এখানে আছে একই সাথে এক হাজার লোকের খাবারের জায়গা।
হ্যাপি ডে ইনন গাজীপুরঃ
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের ঠিক বিপরীত দিকে রয়েছে বেসরকারি এ পিকনিক স্পট। উন্নতমানের হলরুম, আবাসিক রুমসহ দেশীয়, থাই, চায়নিজ খাদ্যের ব্যবস্থা রয়েছে পিকনিকের জন্য। পিকনিকের আয়োজন করে গাজীপুরের এই সবুজ বনে হারিয়ে যেতে কে না চায়।
ফ্যান্টাসি কিংডম আশুলিয়াঃ
আশুলিয়ার জামগড়ায় গড়ে উঠেছে বিশ্বের আধুনিক সব রাইড নিয়ে বিনোদনকেন্দ্র ফ্যান্টাসি কিংডম। পাশেই হেরিটেজ পার্কে আছে ঐতিহ্যের পরিপূর্ণ ভাণ্ডার। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর অনেকগুলোই চোখে পড়বে এখানে। এগুলো মূল স্থাপনার অবিকল আদলেই তৈরি করা হয়েছে হেরিটেজ পার্কে। এ জায়গা দুটিতে বনভোজন করার জন্য রয়েছে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা।
রিসোর্ট আটলান্টিস, আশুলিয়াঃ
ওয়াটার কিংডমের ভিতরে অবিস্থিত রিসোর্ট আটলান্টিস।
মোহাম্মদী গার্ডেন মহিশাষী, ধামরাইঃ
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ধামরাইয়ের মহিষাশী। এখানেই এই গার্ডেন অবস্থিত। নিজে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না এটা একটা স্বপ্নপুরী নাকি স্বর্গভূমি। বিনোদনের জন্য গার্ডেনের ভিতরে রয়েছে পুকুর। সেই পুকুরে ভেসে বেড়াচ্ছে নৌকা, কাঠের রাজহাঁস, মাটির শাপলা।
নন্দন পার্ক গাজীপুরঃ
সাভারের অদূরে চন্দ্রার বাড়ই পাড়ায় রয়েছে নন্দন পার্ক। এখানকার ড্রাই জোন ও ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে মজাদার সব রাইড উপভোগের পাশাপাশি বনভোজন করারও ব্যবস্থা আছে। বনভোজনের জন্য বিভিন্নরকম প্যাকেজও আছে নন্দন পার্কে।
হাসনাহেনা গাজীপুরঃ
ঢাকার পাশেই গাজীপুর জেলার পুবাইল কলেজগেটে অবস্থিত তেমনি একটি বেসরকারি বিনোদন পর্যটন কেন্দ্র “হাসনাহেনা”। টঙ্গী থেকে এর দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। পরিবারের সবাইকে নিয়ে কিংবা অফিস বা সংগঠনের দিনব্যাপী পিকনিক বা বনভোজনে এখানে আসা যেতে পারে অনায়াসে। যোগাযোগ :হাসনাহেনা, হাড়িবাড়ীর টেক, পুবাইল কলেজগেট, পুবাইল গাজীপুর।
পুবাইল রিসোর্টঃ
এই রিসোর্টটির আরেক নাম হল “বন- জঙ্গল”। উত্তরা/ টঙ্গী থেকে মাত্র ৩০ মিনিতী দুরত্তে ঘোড়াশাল রোডে অবস্থিত এই রিসোর্টটি।
রিসোর্ট নক্ষত্রবাড়িঃ
জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা তৌকীর আহমেদ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি এলাকা গড়ে তুলেছেন আধুনিক এক রিসোর্ট। প্রায় ১০ বিঘা জমির উপর তৌকীর আহমেদ গড়ে তুলেছেন “নক্ষত্রবাড়ি”। এখানে নাটক ও চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের পাশাপাশি অবকাশ যাপনের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। রিসোর্টে আরো আছে একটি সাজানো গোছানো কনফারেন্স সেন্টার। সারা বছর পিকনিক করার পাশাপাশি সপরিবারে রাত্রি যাপনের জন্য সবধরণের সুযোগ-সুবিধাসহ এখানে আছে কয়েকটি কটেজ। বিশাল দীঘি, দীঘিতে শান বাঁধানো ঘাট, কৃত্রিম ঝরনা, সুইমিং পুল. দোলনা, শালবন সবই আছে এখানে।
আরশিনগর হলিডে রিসোর্টঃ
ঢাকা থেকে মাত্র ত্রিশ কিলোমিটার দূরে গাজীপুরের ভাওয়ালে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত হলিডে রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট। ভাওয়ালের গ্রাম ও শালবনের মাঝে অসাধারণ প্রাকৃতিক আবহাওয়ায় আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে সাজানো আরশিনগর।
সোহাগ পল্লী গাজীপুরঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুরস্থ সোহাগ পল্লী শুটিং স্পট। উত্তরা থেকে টঙ্গী হয়ে কোনাবাড়ী থেকে চন্দ্রা হয়ে চলে যাবেন সোহাগ পল্লী।
আনন্দ পার্ক এন্ড রিসোর্টঃ
তালতলী, সফিপুর এ অবস্থিত রিসোর্টটা ভালো লাগছে। ডে লং পিকনিকের সাথে যে কেউ রাতেও থাকতে পারে। সুন্দর ৬ টা কটেজ আছে ঐ রিসোর্টে।
তেপান্তর পিকনিক স্পট ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহে রয়েছে তেপান্তর পিকনিক স্পট। পিকনিক স্পটের সঙ্গেই রয়েছে একটি শুটিং স্পট। এখানে পিকনিকের আয়োজন করতে এসে দেখা হতে পারে আপনার পছন্দের কোনো তারকার সঙ্গে।
রাসেল পার্ক নারায়ণগঞ্,রূপগঞ্জঃ
ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রূপগঞ্জে রয়েছে মনোমুগ্ধকর এ পিকনিক স্পট। প্রায় ৩০ বিঘার মতো জায়গা জুড়ে এখানে রয়েছে সবুজের সমারোহ। রাসেল পার্কে রয়েছে তিনটি পিকনিক স্পট। এছাড়াও রাসেল পার্কের ভেতরেই রয়েছে ছোট একটি চিড়িয়াখানা। নানারকম পশুপাখি রয়েছে এ চিড়িয়াখানায়।
জিন্দাপার্ক, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জঃ
বেসরকারী পর্যায়ে রূপগঞ্জে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। নাম ঐক্যতান অপস মডেল রিজোর্ট (জিন্দাপার্ক)। ঢাকা থেকে ত্রিশ কিলোমিটার দূরে এই জিন্দাপার্কের অবস্থান। বনভোজনের স্পট রয়েছে তিনটি। বড় স্পটে ৭/৮ হাজার মানুষ অনায়াসে অংশগ্রহণ করতে পারে। বনভোজনের স্পটে সব সময় থাকে মানুষের সমাগম। পার্কের তিনটি লেকেই নৌবিহারের জন্য রয়েছে ৭/৮টি সুসজ্জিত নৌকা।
পন্ড গার্ডেন নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঞ্চনে বেসরকারি একটি পর্যটনকেন্দ্র পন্ড গার্ডেন। প্রায় পঁচিশ বিঘা জায়গা জুড়ে শিশুপার্ক, অবকাশকেন্দ্র ছাড়াও এখানে আছে নানান আেয়াজন।
সোনার গাঁওঃ
ঢাকার কাছেই আরেক আকর্ষণীয় পিকনিক স্পট হলো সোনার গাঁও। এখানকার লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের বিশাল চত্বরে রয়েছে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট। এখানে বনভোজনের পাশাপাশি দেখে আসতে পারেন বাংলার ঐতিহাসিক নানান স্মৃতি। এখানকার লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন যাদুঘর, ঐতিহাসিক পানাম নগর , গোয়ালদী মসজিদ, গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের মাজার ছাড়াও আরো অনেক ঐতিহাসিক জায়গা দেখে আসতে পারেন।
ড্রিম হলিডে পার্ক নরসিংদীঃ
নরসিংদীতে গড়ে উঠছে আর্ন্তজাতিক মানের বিনোদন কেন্দ্র ড্রিম হলিডে পার্ক। দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্প গোষ্ঠি ফনিক্স গ্রুপ রাজধানী ঢাকা থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিনোদন কেন্দ্রটিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এগারটি রাইট। এদের মধ্যে ওয়াটার পার্ক, এয়ার বাই সাইকেল, ফাইটার বোট, সোয়ান বোট, হ্যাপী ক্যাসেল, ন্যাকেট ক্যাসেল, রর্কি হর্স, হ্যাপী স্লাইট ও গ্রাউন সীট উল্লেখযোগ্য।
পদ্মা রিসোর্ট লৌহজং, মুন্সীগঞ্জঃ
এখানে আছে ১৬টি ডুপ্লেঙ্ কটেজ। প্রতিটি কটেজে আছে একটি বড় বেডরুম, দুটি সিঙ্গেল বেডরুম, একটি ড্রইংরুম। আছে দুটি ব্যালকনি এবং একটি বাথরুম। শীতে কটেজের চারপাশ রঙ-বেরঙের ফুলে ভরে ওঠে আর বর্ষায় পানির রাজ্য। রিসোর্টের উঠোনে ইজি চেয়ারে রাতের তারা গুনতে পারেন। দিনে পারেন দেশি নৌকায় পদ্মা বেড়াতে। রিসোর্ট রেস্টুরেন্টে টাটকা ইলিশ পাবেন। শাকসবজি, গরু, মুরগি আর হাঁসের মাংসও পাবেন। মৌসুমি ফলফলাদিও মিলবে। এক দিনে কটেজ ভাড়া (সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা) দুই হাজার টাকা। ২৪ ঘণ্টার জন্য (সকাল ১০টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা) তিন হাজার টাকা। দুপুর বা রাতের খাবারের জন্য খরচ হবে ৩০০ টাকা। ঢাকা থেকে রিসোর্টের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। মাওয়া ফেরিঘাট থেকে রিসোর্টের নিজস্ব স্পিডবোট আছে।
মেঘনা ভিলেজ রিসোর্টঃ
নামের সঙ্গেই যেহেতু “ভিলেজ” যুক্ত অতএব এই রিসোর্ট গ্রামের মতোই সবুজ শ্যামল হবে, এটাই স্বাভাবিক। আসলেও তাই। মেঘনা রিসোর্ট ভিলেজের অবস্থান মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায়। যা মেঘনা ব্রিজ থেকে এক কিলোমিটার দূরে। এখানে অবকাশ যাপনকারীদের জন্য রয়েছে থাকা-খাওয়া এবং বিনোদনের সব ব্যবস্থা। এখানে রয়েছে এসি-ননএসি উভয় প্রকার। আর এখানকার প্রতিটি ঘর একটু ভিন্নভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা দেখতে অনেকটাই নেপালি কটেজের মতো। এখানে রয়েছে একটি বড় সবুজ মাঠ। যেখানে ইচ্ছে করলেই খেলাধুলায় মেতে ওঠা যায়। রয়েছে ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টনসহ প্রচলিত বিভিন্ন খেলার সামগ্রী। এখানে যে খাবার পরিবেশন করা হয় সেসব খাবারে ঘরোয়া স্বাদ পাওয়া যাবে নিঃসন্দেহে। রাতের বেলা আরাম কেদারায় বসে চাঁদনী দেখতে চাইলে সেই ব্যবস্থাও রয়েছে। বিশেষ করে জায়গাটি যেহেতু খোলামেলা তাই আকাশ কিংবা চাঁদ দেখা যায় সহজেই।
ব্লুস্টার রিসোর্টঃ
দিনের পর দিন ব্যস্ততার পর প্রতিটি মানুষই চায় একটু নির্মল বিনোদন। তাই সবাই ছুটে যাই প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে। সবুজ ঘাসের গালিচায় খালি পা ফেলার অনুভূতি, স্বচ্ছ পানির মাঝে সাঁতার দেয়ার তৃপ্তি, নৌকা ভ্রমণের আনন্দ অথবা ছিপ ফেলে পুকুরে মাছ ধরে কাটাতে চান একটি সুন্দর দিন, তবে ঘুরে আসুন ঢাকার কাছে অপরূপ ব্লুস্টার রিসোর্ট। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে উপজেলার ইছাপুরার চালতা তলায় ব্লূস্টার রিসোর্টের অবস্থান ।
মাওয়া রিসোর্টঃ
ঢাকা থেকে মাত্র ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণে বিক্রমপুরের লৌহজং উপজেলার মাওয়া ১নং ফেরিঘাট হতে সামান্য দক্ষিণে মাওয়া-ভাগ্যকুল রাস্তার কান্দিপাড়া গ্রামে নির্মিত এ রিসোর্ট সেন্টারটি যেন প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যম-িত একটি অন্য রকম পর্যটন কেন্দ্র।। দীঘিতে রয়েছে দুটি বাঁধানো পাকা ঘাট। দীঘিতে ঘুরে বেড়াতে রয়েছে আধুনিক বোট। দীঘির পার ধরে বাম দিকে এগিয়ে গিয়ে আবার ডানে গেলে হাতের বামে পড়বে একটি ক্যাফেটেরিয়া। পর্যটকদের চাহিদামতো খাবার পাওয়া যায় এ ক্যাফেটেরিয়ায়। পুকুরের পূর্ব প্রান্তে পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে সারি সারি বেশ কয়েকটি কটেজ। পর্যটকদের থাকার জন্য মোট ১১টি কটেজ রয়েছে। ৫টি সিঙ্গেল ৪টি ডাবল ও একটি সুইট রয়েছে এখানে। তবে কটেজে যাবার সময় সাদা আর সবুজ রঙের কাঠের পুলটি পর্যটন কেন্দ্রটির সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পিকনিক ও ছবির শূটিং করার জন্যও এটি হতে পারে একটি অনন্য স্থান। রিসোর্টের কটেজগুলো ইটের দেয়ালে তৈরি করা হলেও এতে ছাদ না দিয়ে গ্রামের স্বাদ দিতে গোলপাতা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে চাল। বাঁশের চটা দিয়ে নানান আলপনা তৈরি করা সিলিং পর্যটকদের মন কেড়ে নেবে। ভেতরে আধুনিক আসবাবপত্র, বাথরুম আর টাইলসের মেঝে দেখে মনে হয় এ যেন কোন ফাইভ স্টার হোটেল।
ঘাসবন রিসোর্ট,কুমিল্লাঃ
ঢাকা থেকে মাত্র ৬০ কি:মি মোটামুটি ১ ঘণ্টা এর পথ । ঢাকা থেকে মেঘনা ব্রিজ এর পর গোমতী ব্রিজ পার হয়ে শহীদনগর নামে একটা জায়গা আছে… ওইখানে ট্রমা সেন্টার এর পাশের রাস্তা দিয়ে চরগোয়ালী গ্রামে। এখানে যেকোন ধরণের হানিমুন ট্যুর , ফ্যামিলি ট্যুর , মিনি পিকনিক ,শুটিং এর জন্য স্পট ভাড়া দেয়া হয়।
গজনী অবকাশ কেন্দ্র শেরপুরঃ
শেরপুর জেলা শহর থেকে চবি্বশ কিলোমিটার দূরে গারো পাহাড়ের পাদদেশে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত গজনীতে গড়ে তোলা হয়েছে অবকাশ কেন্দ্র। এটি ঝিনাইগাতি উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গজনীতে অবস্থিত। যাবার পথে রাংটিয়া ছেড়ে কিছু দূর এগোলে দুপাশে গজারি গাছের ছাউনিতে ঢাকা কালো পিচঢালা পথটি সবার মন কাড়বে। এ পথ গিয়ে শেষ হয়েছে একটি হ্রদের সামনে। পাহাড়ি ঝরনার জল আটকিয়ে এখানে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম হ্রদ। এর মাঝখানে আছে ছোট্ট একটি দ্বীপ। দ্বীপে যেতে হবে দোদুল্যমান ঝুলন্ত সেতু পেরিয়ে। লেকে নৌ-ভ্রমণের জন্য আছে পা চালিত নৌকাসহ ময়ূরপঙ্খী নাও। এখানে দূর পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পাহাড় চূড়ায় নির্মাণ করা হয়েছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠে যেদিকেই দৃষ্টি যাবে সবুজ আর সবুজ। দূরে পাহাড় চূড়ার সঙ্গে মেঘের মিতালী। এখানকার কৃত্রিম পাতালপথটির নাম পাতালপুরী।
লাউচাপড়া জামালপুরঃ
জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জের লাউচাপড়ায় অবস্থিত পাহাড়িকা অবকাশ কেন্দ্র। এখানে চারদিকে গারো পাহাড়ের সবুজ বন। পাহাড়ের গা বেয়ে আঁকাবাঁকা একটি সিঁড়ি উঠে গেছে একেবারে চূড়ায়। সেখানে আবার রয়েছে মস্তবড় এক ওয়াচটাওয়ার। দশ-বারোটি সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠলে চারদিকে সবুজ ছাড়া কিছুই আর চোখে পড়ে না। দূরে দেখা যায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের আকাশছোঁয়া সব পাহাড়। চারদিকটা যেন ছবির মতো। এই পাহাড়ি জঙ্গলে আছে নানা জাতের পশু-পাখি। পুরো জায়গাটি অবসর বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছে জামালপুর জেলা পরিষদ। এ অবসর কেন্দ্রে প্রবেশে কোনো টাকা লাগে না। তবে কোনো বাহন নিয়ে গেলে তার জন্য পার্কিং ফি দিতে হবে। পার্কিং ফি প্রতিটি বাস কিংবা কোস্টারের জন্য ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, জিপ, টেম্পো, কার ৫০ টাকা, বেবি টেক্সি, ঘোড়ার গাড়ি ২০ টাকা, মোটর সাইকেল, ভ্যান গাড়ি ১০ টাকা, রিকশা ৫ টাকা, বাইসাইকেল ২ টাকা। এ ছাড়া লেকে নৌবিহার করতে জনপ্রতি লাগবে ১০ টাকা, ওয়াচ টাওয়ারে উঠতে ৩ টাকা এবং পিকনিক পার্টির রান্নাঘর ও প্রতি চুলা ব্যবহারের জন্য দিতে হবে ৫০ টাকা।
রয়েল রিসোর্ট ধনবাড়ী, টাঙ্গাইলঃ
জমিদারবাড়িতে থাকতে চাইলে যেতে পারেন রয়েল রিসোর্টে। এটি আসলে নবাব নওয়াব আলীর প্রাসাদ। এখানে আছে এলিফ্যান্ট গেট, ৭০০ বছরের পুরনো মসজিদ ও রাবার বাগান। দিঘিতে ভাসতে পারবেন, ঘোড়া নিয়ে ছুট দিতে পারেন। নবাব প্যালেস, ভিলা, কটেজ এবং বাংলো_এ চার ধরনে থাকতে পারেন। প্যালেসে থাকতে খরচ হবে তিন হাজার ৫০০ থেকে সাত হাজার টাকা। ভিলা এবং কটেজে খরচ হবে এক হাজার থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা। বাংলোর ভাড়া দুই হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার টাকা। ঢাকার গাবতলী বা মহাখালী থেকে বাসে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় যেতে হবে। তারপর টাঙ্গাইল-জামালপুর সড়কে ৫০ কিলোমিটার এগোলে রয়েল রিসোর্টে।
যমুনা রিসোর্ট টাঙ্গাইলঃ
ঢাকা থেকে ৯৫ কিলোমিটার এবং টাঙ্গাইল থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে বঙ্গবন্ধু সেতুর কাছেই আধুনিক একটি অবকাশ কেন্দ্র যমুনা রিসোর্ট। রিসোর্টের পশ্চিম পাশে যমুনার তীর ঘেঁষে এখানে আছে সাজানো গোছানো বনভোজন কেন্দ্র।
এলেঙ্গা রিসোর্ট : টাঙ্গাইলঃ
রাজধানী ঢাকা থেকে গাড়ি যোগে মাত্র দুই ঘণ্টার পথ। টাঙ্গাইল শহর থেকে সাত কি.মি. উত্তরে এলেঙ্গায় গড়ে উঠেছে ১৫৬.৬৫ হেক্টর জুড়ে এই রিসোর্ট। রিসোর্টের চারপাশজুড়ে বিভিন্ন গাছের সারি। একটা ছায়াঢাকা গ্রামীণ পরিবেশ। সঙ্গে আছে রেস্তোরাঁসহ নানা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। পাঁচটি ভিআইপি এসি স্যুট ছাড়াও আছে ১০টি এসি ডিলাক্স স্যুট, ১৬টি নানা-এসি কক্ষ, পাঁচটি পিকনিক স্পট, সভাকক্ষ, ছোট যাদুঘর ও প্রশিক্ষণ কক্ষ ইত্যাদি। খেলাধুলার জন্য রয়েছে টেনিস, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন কোর্ট। বাড়তি সুযোগ হিসেবে আরও রয়েছে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি। ছোটদের বিনোদনের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে কিড্স রুম। আছে ঘোড়ায় চড়ার ব্যবস্থা ও হেলথ ক্লাব। বিভিন্ন ধরনের দেশী খাবারের পাশাপাশি রয়েছে চীনা, ভারতীয় ও কন্টিনেন্টাল খাবার। নৌ-ভ্রমণের জন্য রয়েছে ট্রলার, দেশীনৌকা ও স্পিডবোড। কাছেই টাঙ্গাইলের তাঁতিবাজার। ইচ্ছে করলে সেখান থেকে কেনাকাটাও করতে পারেন কোনো পর্যটক। এছাড়া রিসোর্টের নিজস্ব গাড়িতে বেড়ানো যায় করটিয়া জমিদারবাড়ি, মধুপুরের গড় আর ধনবাড়ীর জমিদারবাড়ি।
পাকশী রিসোর্ট, ঈশ্বরদী, পাবনাঃ
যমুনা সেতু থেকে এক ঘণ্টার পথ পাকশী রিসোর্ট। পদ্মা নদীর পাড়ে ৩৬ বিঘা জমির ওপর এই রিসোর্ট। আছে তিন তলাবিশিষ্ট দুটি আধুনিক ভবন। প্রতিটি কক্ষই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। আসবাব অভিজাত, শয়নকক্ষে রয়েছে মখমলের বিছানা। রিসোর্টের “ষড়ঋতু” রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশি, ইন্ডিয়ান, চাইনিজ ও থাই ডিশ পাবেন। জুস, বেকারি ও পেস্ট্রিশপও আছে। রিসোর্টের ভেতরে খেলতে পারেন লন টেনিস, বাস্কেট বল, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, বিলিয়ার্ড ইত্যাদি। ফুলবাগানে হাঁটতে পারেন, সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে পারবেন। ব্যায়ামাগারও আছে। রিসোর্টে আছে দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০০ প্রজাতির গাছ। রিসোর্টের একেকটি রুমের ভাড়া চার হাজার টাকা। ঢাকার মহাখালী বা কল্যাণপুর থেকে বাসে পাকশী যাওয়া যায়। পাবনা, কুষ্টিয়া ও নাটোর শহর থেকে রিসোর্ট আধঘণ্টার পথ।
অরুনিমা কান্ট্রিসাইড নড়াইলঃ
নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার মধুমতির তীরে পানি পাড়া গ্রামে প্রায় ৫০ একর জায়গা নিয়ে অরুনিমা কান্ট্রিসাইড রিসোর্ট। আধুনিক বাংলো, চিড়িয়াখানা, পুকুর, লেক, গোলাপ বাগান, বাটার ফ্লাই পার্ক, ছেড়াদ্বীপ, ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ি, গলফ খেলার মাঠসহ আরো অনেক আয়োজন আছে অরুনিমায়। নানান গাছপালার মাঝে এখানে বনভোজন করতে ভালো লাগবে সবার।
চিত্রা রিসোর্ট নড়াইলঃ
নড়াইল শহরের চিত্রা নদীর তীরে অবস্থিত চিত্রা রিসোর্ট। প্রায় সাত বিঘা জায়গাজুড়ে এ রিসোর্টে আছে কটেজ, শিশুপার্ক এবং চিত্রা নদীতে নৌ-ভ্রমণের ব্যবস্থা। বনভোজন, অবকাশ যাপন কিংবা পারিবারিক ভ্রমণের জন্য চিত্রা রিসোর্ট একটি উপযুক্ত জায়গা।
নিরিবিলি বনভোজন কেন্দ্র নড়াইলঃ
নড়াইল জেলার লোহগড়া থানার রামপুরে অবস্থিত বনভোজন কেন্দ্র নিরিবিলি। প্রায় ১৪ একর জায়গা নিয়ে এ কেন্দ্রটিতে আছে চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, এস এম সুলতানের শিল্পকর্ম নিয়ে একটি প্রদর্শনী গ্যালারি, রোপ ওয়ে, রেস্ট হাউস, ফুল ও ফলের বাগানসহ বনভোজন ও অবকাশ যাপনের সব ব্যবস্থা।
সাতছড়ি উদ্যান হবিগঞ্জ, সিলেটঃ
সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান বনভোজনের জন্য একটি আদর্শ জায়গা। রাজধানী থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত জাতীয় এ উদ্যানটিতে রয়েছে কয়েকটি বনভোজন কেন্দ্র। সঙ্গে সঙ্গে উপভোগ করা যাবে এখানকার নানান জীব বৈচিত্র্য। সাতছড়িতে রয়েছে প্রায় ১৪৯ প্রজাতির পাখি, ২৪ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ৬ প্রজাতির উভচর প্রাণী। মুখপোড়া হনুমান, চশমা হনুমান, উলস্নুক, লজ্জাবতী বানর, কুলু বানরের মতো বিরল প্রাণীর দেখা মেলে এ উদ্যানে। এ ছাড়া মায়া হরিণ, খিদির শুকর, বন্য শুকর, বেজি, গন্ধ গোকুল, বনবিড়াল, মেছো বাঘ, কটকটি ব্যাঙ,গেছো ব্যাঙ, গিরগিটি, বিভিন্ন রকম শাপ, গুই সাপ প্রভৃতি রয়েছে এ বনে। ফিঙ্গে, কাঠঠোকরা, মথুরা, বন মোরগ, ধনেশ, লাল ট্রগন, পেঁচা, সুই চোরা এ বনের উলেস্নখযোগ্য পাখি। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বনভোজন কেন্দ্র ব্যবহার করতে চাইলে জনপ্রতি ১০ টাকা হিসেবে দিতে হবে। এ ছাড়া কার, জিপ ও মাইক্রোবাস পার্কিং ২৫ টাকা।
নাজিমগড় রিসোর্ট সিলেটঃ
পাঁচ একর জায়গার ওপর নির্মিত রিসোর্টটি সব বয়সীদের জন্যই উপযোগী। পাহাড়ের ঢেউ দেখার দারুণ জায়গা এটি। ১৫টি কটেজ আছে এখানে। রেস্টুরেন্টে অনেক পদের খাবার পাবেন। রিসোর্টে আছে বিশাল এক বাগান, পিকনিক ও ক্যাম্পিং স্পট। ঘুরে আসতে পারবেন নুড়ি পাথরের রাজ্য জাফলংয়ে। সিলেট শহর থেকে রিসোর্ট বাসে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ। কটেজ ভাড়া পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা।
শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট মৌলভীবাজারঃ
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে এ রিসোর্ট। চা বাগানের মাঝখানে এর অবস্থান। এখানে বাংলোর সংখ্যা ১০টি। বুকিং নিতে হবে কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে। যাঁরা প্রকৃতি ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য এটি স্বর্গরাজ্য। সব ধরনের খাবার পাবেন, সঙ্গে পাহাড়ি খাবারও। বাংলো ভাড়া তিন থেকে ছয় হাজার টাকা। রিসোর্টের নিজস্ব গাড়ি শহর থেকে আপনাকে নিয়ে যাবে।
জেসটেট হলিডে রিসোর্টঃ
সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পাশে দেশের প্রথম রিসোর্ট জাকারিয়া সিটি জেসটেট হলিডে রিসোর্ট। এখানে আছে কৃত্রিম হ্রদ, ৫০০ প্রজাতির ১ লাখেরও বেশি গাছগাছালি, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, টেনিস কোর্ট, লং টেনিস কোর্ট, জিমনেশিয়াম ও অডিটরিয়াম। জাকারিয়া সিটি জেসটেট হলিডে রিসোর্টের সহকারী ব্যবস্থাপক ইকবাল করিম মজুমদার বলেন, তাদের ৪৭টি কক্ষের ৯০ শতাংশ ১ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বুকিং হয়ে গেছে। এ রিসোর্টে প্রতি রাত থাকার জন্য খরচ পড়বে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে।
আমতলী নেচার রিসোর্ট শ্রীমঙ্গল,মৌলভীবাজারঃ
আমতলী নেচার রিসোর্ট ঠিক এমনই এক সবুজে ঘেরা জায়গা। ঢাকা থেকে মাত্র চার ঘণ্টার দূরত্বে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার খুব কাছেই আমতলী চা বাগান। আর এই চা বাগানেই রয়েছে একটি দারুণ রিসোর্ট। একদিকে চা বাগান, অন্যদিকে রবারের বন_ এই দুয়ে মিলে তৈরি হয়েছে এক নৈসর্গিক পরিবেশ, যা আপনাকে মুহূর্তে ভুলিয়ে দেবে যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি। স্বল্প পরিসরে তৈরি এই রিসোর্টটিতে রয়েছে থাকা-খাওয়ার আধুনিক সব ব্যবস্থা। দিনের বেলা বেড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন আশপাশের চা বাগান, বন্যপ্রাণীদের সাহচর্য, সীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা, বাইক্কা বিলের অপূর্ব সৌন্দর্য আর সেই সঙ্গে জিভে জল আনা সব খাবার, এর সঙ্গে রাতে চাঁদের আলোয় বারবিকিউ পার্টি_ সব মিলিয়ে আপনার ছুটির দিন হয়ে উঠতে পারে অনেক বেশি আনন্দময় ও উত্তেজনাপূর্ণ। বছরের সব ঋতুতেই আপনি যেতে পারেন আমতলী। এদিক-ওদিক যাওয়ার জন্য প্রয়োজনে বাগান কর্তৃপক্ষ আপনাকে গাড়ির ব্যবস্থা করে দেবে। নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে, ভ্রমণপিপাসুদের মন জয় করে নিতে পারে আমতলী নেচার রিসোর্ট।
মৌ ভ্যালি পর্যটন ও পিকনিক স্পটঃ
শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজার সড়ক ধরে যে কোন যানবাহনে মৌলভীবাজার থেকে ৫ কিলোমিটার এবং শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার অদূরে অবস্থিত মোকাম বাজার। বাজারের ভেতর দিয়ে দেওরাছড়া-কমলগঞ্জ সড়কের প্রায় অর্ধ কিলোমিটার সামনে এগোলেই প্রেমনগর চা বাগান। এ চা বাগান সংলগ্ন্ন এলাকায় পাহাড়ি টিলায় ২ হাজারের অধিক বৃক্ষবেষ্টিত নয়নাভিরাম বিশাল এলাকাজুড়ে পর্যটন ও পিকনিক স্পট মৌ ভ্যালির অবস্থান। সবুজ প্রকৃতিকে নিবিড়ভাবে উপভোগ করতে এখানে গড়ে তোলা হয়েছে পর্যটননির্ভর নানাবিদ অবকাঠামো। সাজানো রয়েছে শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য বিভিন্ন খেলনার সামগ্রী দিয়ে। বিশাল টিলাঘেরা এ স্পটটির প্রতিটি গাছ সাজানো হয়েছে রঙিন করে। গাছনির্ভর এ স্পটটিতে গাছের ওপরে, তাঁবুতে এবং বিশেষ কাগজের তৈরি কটেজে থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। স্পটটিতে আছে পাকা কটেজও।
দুসাই হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড মৌলভীবাজারঃ
একটি অত্যাধুনিক, অভিজাত, বিলাসবহুল পাঁচ-তারকা ইকো রিসোর্টের জন্য বাংলাদেশের এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এটিই হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম সত্যিকারের ইকো-বুটিক রিসোর্ট। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগ সিলেটের চিরহরিৎ অঞ্চলেই গড়ে উঠছে এই রিসোর্ট। কাজ শুরু হয়ে গেছে গত মার্চ থেকে। ২০১২ অক্টোবরে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজকদের।
অ্যামাজন ফরেস্ট রিসোর্টঃ
অ্যামাজন ফরেস্ট রিসোর্ট নতুন এ রিসোর্ট চালু হয়েছে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে। যেকোনো বাংলা খাবার পাবেন এখানে। চা-বাগানে বেড়ানোর পাশাপাশি পাহাড়ের কোলে অবকাশে আপনার আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে।
গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফঃ
শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের পাশে শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে রাধানগর এলাকায় ১৪ একর উঁচু-নিচু টিলাভূমির ওপর এ রিসোর্ট গড়ে তোলা হচ্ছে। এক্সার্শন অ্যান্ড রিসোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড বিলাসবহুল এ পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্টটি নির্মাণ করেছে।
শুকতারা নেচার রিসোর্টঃ
শুকতারা নেচার রিসোর্ট সিলেটের খাদিমনগরে গড়ে উঠেছে শুকতারা নেচার রিসোর্ট। পাহাড় আর জঙ্গল মিলেমিশে আছে এখানে। ঘরে বসেই উপভোগ করা যাবে পাহাড়ের মোহনীয় রূপ।
প্রজাপতি পার্ক /রিসোর্ট, চট্টগ্রামঃ
দেশের প্রথম প্রজাপতি পার্ক চট্টগ্রামে, নগরীর পতেঙ্গা নেভাল একাডেমি রোডে ছয় একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত পার্কটি।চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গায় কর্ণফুলী মোহনায় নির্মিত হয়েছে এই বাটারফ্লাই পার্কটি। আজ থেকে তিন বছর আগে এয়ারপোর্ট সংলগ্ন প্রায় ৬ একর ভূমিতে নান্দনিক পরিবেশে প্রজাপতি পার্কটির যাত্রা শুরু করেছে।
ফয় স লেক রিসোর্ট চট্টগ্রামঃ
ভ্রমণপ্রিয় মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয় একটি স্থান ফয় স লেক। একটু অবসর পেলেই সেখানে ছুটে যান বিনোদনপ্রেমীরা। তাদের সেবায় ফয় স লেক কর্তৃপ প্রদান করে থাকে বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা। যেমনÑ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক, রঙিন ক্যাবল টেলিভিশন, রেস্টুরেন্ট, ক্রেডিট কার্ড সুবিধা, টেলিফোন, এটাচ বাথরুম, রুম সার্ভিস, গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা, কেনাকাটা সুবিধা ইত্যাদি। ফয় স লেকে সাধারণত বিনোদনের জন্যই যাওয়া হয়। তাই বিনোদনের জন্য যা যা দরকার তার প্রায় সবই রয়েছে সেখানে। যেমন সেখানে রয়েছে মজার মজার সব রাইড। এ রাইডে ছোট বড় সবাই চড়তে পারে। রয়েছে বার্বিকিউ নাইটস, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা, লেকে নৌকা ভ্রমণ করার সুযোগ। এছাড়া প্রতিদিন স্বনামধন্য শিল্পীদের পরিবেশনায় জমকালো সঙ্গীতানুষ্ঠান তো থাকছেই।
চট্টগ্রামে ঠান্ডছড়ি রিসোর্ট, চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড এলাকায় নতুন একটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট প্রতিষ্ঠা করেছে। এর নাম দেয়া হয়েছে ঠা-াছড়ি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট। দক্ষিণ পাহাড়তলীর ঠা-াছড়িতে প্রায় ১০ একর জমি নিয়ে পর্যটকদের জন্য নতুন এ স্পটটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
টুক টুক রিসোর্ট রাঙামাটিঃ
পাহাড় ঘেরা টুক টুক রিসোর্ট আপনার মন কেড়ে নেবে দ্রুত। কটেজ আছে চারটি। লোকেশনের ওপর কটেজের ভাড়া নির্ভর করে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা। রেস্টুরেন্টে পাহাড়ি খাবারও পাবেন। এখান থেকে সুবলং ঝরনা ও পেদা টিং টিং রেস্টুরেন্ট কাছে। রাঙামাটি সদরের রিজার্ভ বাজার গিয়ে ইঞ্জিনবোটে বালুখালী ঘাটে নামতে হবে। রিসোর্ট ঘাটেও নামতে পারেন।
নীলগিরি রিসোর্ট বান্দরবানঃ
শহর থেকে ৪৭ কিলোমিটার দূরে চিম্বুক পাহাড়ের মাথায় নীলগিরি রিসোর্ট। এ রিসোর্টে আপনি মন উজাড় করা দুটি জিনিস পেয়ে যাবেন। একটি পাহাড়, অন্যটি সবুজ বনানী। আশপাশে বৌদ্ধমন্দির এবং ঝরনাও পাবেন। পাহাড়ি খাবারও পাবেন। কটেজ ভাড়া পাঁচ হাজার থেকে আট হাজার টাকা। সেনাবাহিনী পরিচালিত রিসোর্টটিতে থাকার জন্য বান্দরবান ডিসি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
গিরিছায়া গার্ডেন রিসোর্ট, বান্দরবানঃ
বান্দরবানে পর্যটন শিল্পের বিকাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে যুক্ত হলো শৈল্পিক ছোঁয়া। জেলা শহরের টাউনহল সংলগ্ন পুলিশ কোয়ার্টারের একখন্ড জমিতে পুলিশ প্রশাসনের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে গিরিছায়া গার্ডেন রিসোর্ট।রিসোর্ট বুকিং দিতে হলে বান্দরবান পুলিশ সুপার অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
হিল সাইড রিসোর্ট, বান্দরবানঃ
বান্দরবান জেলা থেকে ৪.২ কিঃমিঃ দূরে চিম্বুক সড়কের মিলনছড়িতে রয়েছে দি গাইড টু্রস লিঃ এর মনোরম হিল সাইড রিসোর্ট। এখানে থাকার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি মনোরম কটেজ ঘর ও ডরমিটরি। কটেজগুলোর একক ভাড়া ৭৫০ টাকা দুজন ১০০০ টাকা। পুরো কটেজ ভাড়া নেওয়া যায়।
-শি/এইচ