ড. জেরিন ‘ওমেন এক্সেলেন্সি অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত

ওমেন এক্সেলেন্সি অ্যাওয়ার্ড

অনলাইনঃ
ইন্টেগ্রো ফার্মা, বাংলাদেশ-এর সিইও ড. জেরিন দেলওয়ার হুসেইন ‘ফার্মা নেস্ট ২০২০: শেপিং দ্য ফিউচার অব ফার্মা ইন্ডাস্ট্রি নিউ এরা ইনোভেশন ইন বায়োটেকনোলজি, ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড বায়োসায়েন্স’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ‘ওমেন এক্সেলেন্সি অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হয়েছেন।

সম্প্রতি ওপের‌্যান্ট ফার্মাসি ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে তিনি মূল বক্তব্য প্রদান করেন।

ড. জেরিন পেশায় একজন কার্ডিওথোরাসিক অ্যানাস্থেসিওলজিস্ট, সেইসাথে প্রখ্যাত ফার্মা প্রডাক্ট অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন ইউনিট ইন্টেগ্রো ফার্মা গ্রুপ লিমিটেড-এর ফাউন্ডার ডিরেক্টর এবং সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বাংলাদেশের একজন বৈচিত্র্যময় এবং অগ্রগামী হেলথকেয়ার পেশাজীবী, উদ্যোক্তা ও সমাজসেবী হিসেবে তিনি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধন করেছেন, বিশেষত দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ রোগীদের মধ্যে রোগের নিরাময় বিষয়ক প্রচারণা এবং বাংলাদেশে কম খরচে উন্নত প্রযুক্তির আন্তর্জাতিক ফার্মা পণ্য ও মেডিক্যাল ডিভাইস নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

সম্মেলনে সম্ভাবনাময় স্বাস্থ্যসেবা সিস্টেম এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সিস্টেমের মধ্যে সমন্বয় বিষয়ে জোর দিয়ে ড. জেরিন দেলওয়ার হুসেইন তার বক্তব্যে বলেন, “ফার্মা ইন্ডাস্ট্রিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রবোটিক পিল, থ্রি ডি প্রিন্টেড ট্যাবলেট এবং পলিপিল বিষয়ে জোর দেওয়া উচিত”।

আগামীতে নতুন নতুন ওষুধ উদ্ভাবনের জন্য তিনি ভারতীয় সিলিকন ভ্যালীর ব্যবহার এবং ভারত ও বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালের মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেন।

সার্ক ওমেন’স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সেক্রেটারি হিসেবে, ড. জেরিন অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ ও বাল্যবিবাহ রোধে কাজ করেছেন।

একজন সমাজসেবী হিসেবে তিনি বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানাস্থেসিওলজিস্ট, ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশ, ইন্ডিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওথোরাসিক অ্যানাস্থেসিওলজিস্ট-এর আজীবন সদস্য এবং জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সবার শীর্ষে থাকা জোনটা ইন্টারন্যাশনাল-এর অঙ্গ সংগঠন জোনটা ক্লাব অব গ্রেটার ঢাকা’র প্রেসিডেন্ট এর ভূমিকা পালন করছেন।

-শিশির

FacebookTwitter