আইন আদালতঃ
ঢাকায় রিকশাচালক হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি মহানগর হাকিম আদালত সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, ডাক ও টেলিযোগন এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।
মহানগর হাকিম মো. রাশেদুল আলম হত্যা মামলায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন বলে বেঞ্চ সহকারী সালাহ উদ্দিন জানান।
আদালতে হাজির করার পর তিনজনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।
আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, তিন আসামি আওয়ামী লীগ ও তার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং তাদের নির্দেশেই সাম্প্রতিক সরকারি চাকরীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দুষ্কৃতিকারীরা সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে ব্যাপক গুলি চালায়।
এতে আরও অভিযোগ করা হয়, এই বেপরোয়া গুলিতে পল্টন এলাকায় গুরুতর আহত হন বাদীর স্বামী এবং রিকশাচালক কামাল মিয়া। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শুনানিতে তিন আসামির পক্ষে কেউ আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন না।
ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত থেকে কোর্টরুমে নেওয়ার পথে আইনজীবীদের একদল তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দাবি করে স্লোগান দেন।
আইনজীবীদের অনেকে আদালত প্রাঙ্গণে তিনজনকে লক্ষ্য করে ডিম ও জুতা ছুড়ে মারেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যায় খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় গোপনে থাকা অবস্থায় তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, নিহত কামাল মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ১৯ জুলাই পল্টন থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
-বিআর