ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনের সফল উদ্যোগ ‘নগদ’

ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনের সফল উদ্যোগ ‘নগদ’
ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনের সফল উদ্যোগ ‘নগদ’

অর্থনীতিঃ
সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন ঘোষণার সফল উদ্যোগ ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।

রাষ্ট্রীয় এই সেবা মোবাইল পেমেন্টের ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে, যার ফলে অ্যাকাউন্ট খোলার ঝামেলা দূর হয়েছে এবং দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি তরান্বিত হয়েছে।

‘নগদ’ ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ যাত্রা শুরু পর থেকে উন্নতি প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে, যার ফলে স্বল্প সময়ে সেবাটির গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ ছাড়িয়েছে। যার ফলে ‘নগদ’-এর এই জনপ্রিয়তা, যা ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিতে একটি বিপ্লব নিয়ে এসেছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন, উপকৃত সকল জনগণ’।

আগামীকাল ১২ ডিসেম্বর দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে উদযাপিত হবে জাতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১।

দেশের সাধারণ মানুষের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশর সুফল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’। আর সে লক্ষ্যেই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ভাতা বিতরণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এই সেবাটি।

উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি এবং নাগরিকদের বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা সফলভাবে বিতরণ করছে ‘নগদ’।

‘নগদ’ ২০২০-২১ অর্থবছওে প্রায় আট কোটি সরকারি আর্থিক সহায়তা দুই কোটি পঞ্চাশ লাখ সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করেছে।

এ ছাড়া ভাতার সঠিক বিতরণকল্পে শুরু থেকেই উন্নত সেবা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ‘নগদ’, যার ফলে অসাধু সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রায় ৩৮৫ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার প্রধানতম সঙ্গী হতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি।

দেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস খাতে প্রথমবারের মতো অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে *১৬৭# ডায়াল করে পিন সেট করার মতো অভিনব পদ্ধতি উদ্ভাবন করে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ‘নগদ’। যার ফলে দ্রুত বেড়েছে ‘নগদ’-এর গ্রাহক সংখ্যা ও লেনদেন।

বর্তমানে এই সেবাটিতে দৈনিক গড় লেনদেন হচ্ছে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা।

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিতে ‘নগদ’-এর ইনোভেটিভ সেবাসমূহ গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবন পরিবর্তনেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। ‘নগদ’-এর উদ্ভাবনী সল্যুশন্সের ফলে দেশে অনেক উদ্যোক্তা হয়েছে সফল। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তাও। দেশে এই উদ্যোক্তা তৈরিতে অবদান রাখছে ডাক বিভাগের এই সেবাটি। পাশাপাশি ‘নগদ’-এর অত্যাধুনিক ও সহজ সেবার মাধ্যমে উদ্যোক্তা এবং গ্রাহক পর্যায়েও দূর হয়েছে প্রযুক্তিগত জটিলতা।

বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ যাত্রার পর থেকেই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে গ্রাহকদের কম খরচে সেবা দিয়ে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ‘নগদ’-এর চলমান সকল সেবা প্রদানে অন্যান্য এমএফএস কোম্পানি থেকে এগিয়ে রয়েছে। তাই ‘নগদ’ ব্যবহারের ফলে গত এক বছরে গ্রাহকদের লাভ হয়েছে ১০০৭ কোটি টাকা।

গ্রাহক তাদের ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, বিল পে, অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন সেভিংস ও এক্সটা মুনাফা আয়ের ওপর গ্রাহকদের এই লাভ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এ বছর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষ্যে ও সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সহযাত্রী হিসেবে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে নগদ শুরু থেকে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের সহযোগী।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছি আমরা। যে কারণে নগদ-এর হাত ধরে দেশের সাড়ে ৫ কোটির বেশি মানুষ অর্থনীতির ধারায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

এ ছাড়া শিক্ষা খাতের উপবৃত্তি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা থেকে শুরু সরকারি অনুদান চলে যাচ্ছে উপকারভোগীর মোবাইল নম্বরে। এসবই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল। সামনের দিনে এই অগ্রযাত্রা বেগবান হবে বলে বিশ্বাস করি।’

তিনি বলেন, ‘দেশের অন্যতম সেরা এই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ইতিমধ্যে সফল একটি ব্যবসায়িক মডেল হিসেবে স্বীকৃত অর্জন করেছে। ‘নগদ’-এর প্রযুক্তিগত দক্ষতাই এই সফলতার অন্যতম কারণ।’

-শিশির

FacebookTwitter