ডায়াবেটিসের মত মরণব্যাধি আপনাকে ছুঁতে পারবে না

স্বাস্থঃ ডায়াবেটিস আমাদের দেশের এক আমরণ ব্যাধি। এই ব্যাধি জীবনের সঙ্গে জড়ালে আর কোন উপায় থাকে না। তাই মরণ ব্যাধি ডায়াবেটিস যেন আপনাকে ছুঁতে না পারে সে ব্যাপারে যে পদক্ষেপ নিবেন।

ডায়াবেটিস ‍মুক্ত থাকতে যে ১১ নিয়ম মেনে চলা উচিৎ

১। প্রতিদিন বাদাম খাওয়াঃ

এতে উপস্থিত আনসাটুরেটেড ফ্যাট, প্রোটিন ও একাধিক ভিটামিন শরীরে প্রবেশ করে কোলেষ্টেরলের মাত্রা কমায় তেমনি ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাডায়। ফলে শরীরে শর্কররা মাত্রা বৃদ্ধি হ্রাস করে।

২। কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়াঃ

ভাতের মত কার্বোহাইড্রেট খাবার বেশি খেলে শরীরে হঠাৎ শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। কারন কোর্বোহাইড্রেট শরীরে প্রবেশ করার পর হেদ থাকে ভেঙ্গৈ চিনিতে রুপান্তরিত করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুগার এর মাত্রা বেড়ে যায়। সেই কারনেই তো পরিবারে ডায়াবেটিসের রোগের ইতিহাস থাকলে ভাত খেতৈ মানা করেন ডাক্তাররা।

৩। প্রতিদিন বার্লি খাওয়া আবশ্যকঃ

বার্লিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায ফাইবার, যা দীর্ঘক্ষন পেট পরিপূর্ণ রাখে। সেই সাথে শর্করার মাত্রা যাতে ঠিক থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখে। তাই ডায়াবেটিক রোগিদের এই খাবারের পরামর্শ দেন ডাক্তাররা।

৪। ভিটামিন ডি-সংগ্রহঃ

শরীরে ভিটামিন ডি িএর অভাব দেখা দিলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের আশংকা থাকে। আর এমন হলে রক্ত সুগারের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।  তাই আজ থেকেই ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন মাছ, দৃধ, কমলা লেবু, সোয়া দুধ এবং ডিম খাওয়া শূরু করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে একবার এই বিষয়ে পরামর্শ করে নিন।

৫। প্রতিদিন হাঁটাঃ

প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে ১৫ মিনিট করে হাঁটলে দেখবেন সুগার লেভেল স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তাই ডায়াবেটিক রোগিদের এই একটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। ভূলে গেলে চলবে না যে শরীরচর্চার সঙ্গে ে এই রোগের বাড়া কমা অনকাংশেই নির্ভব করে।

৬। ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি খাওয়াঃ

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বেশি মাত্রায় ফাইবার রয়েছে এমন খাবার বেশি বেশি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনই ওজন কমাতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, ডাল, ব্রকলি,সআউট, জাম,আ্যাভোকাডো, হোল হুইট পাস্তা এবং ওটস মিলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে।

৭। মেথি খাওয়ার অভ্যাসঃ

প্রতিদিন সকালে একগ্লাস গরম দুধে ১ চামচ মেথি পাউডার খাওয়া শূরু কুরন। অল্প দিনেই দেখবেন ডায়াবেটিস একেবারেই নিয়ন্ত্রণে চলে  এসেছে।  কারণ মেথিতে উপস্থিত বিশেষ কিছূ উপাদার দ্রুত ষর্করার মাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮। সবুজ শাক-সব্জিঃ

যে সব সব্জিতে সার্টের পরিমান কম রয়েছে তেমন সব্জি বেশি করে খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমতে শুরু করে। এক্ষেত্রে পালং শাক, কর্নফ্লাওয়ার, লেটুস প্রভূতি দারুন কাজ করে।

৯। রোজের ডায়েটে ফলঃ

জুস না খেয়ে ফল খাওয়া ভাল। আসলে ফল খেলে শরীরে যে পরিমান ফােইবার যাওয় তার চেয়ে অনেক কম পাওয়া যায় জুস খেলে।

১০। আ্যালোভেরা আর হলুদঃ

পরিমান মত হলুদ গুডার সঙ্গে আ্যালোভেরা জুস, অল্প করে তেজপাতা এবং পানি মিশিয়ে একটা পানীয় বানিয়ে প্রতিরাতে খাবারের আগে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে বাধ্য।

১১। দৈনিক পরিমান মত পানি পান করাঃ

প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করলে শরীরে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। শরীরে পানির পরিমান কম থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

-এসএম

FacebookTwitter