ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কোটা আন্দোলনকারীরা

অনলাইনঃ
ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্ততির কথা জানিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

তবে পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনে জোটবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁদের। সংগঠনটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে চলছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রস্তুতি। কোটা সংস্কার আন্দোলনও এই বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন শুরু করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল অভূতপূর্ব। লাগাতার আন্দোলনের মুখে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৪৬ বছর ধরে চলা কোটাব্যবস্থা বাতিল করে সরকার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় কোনো ছাত্রসংগঠনেরই তেমন কোনো সফল আন্দোলন সাম্প্রতিক সময়ে নেই। সেদিক থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে গড়ে ওঠা এই মঞ্চ দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর দাবি আদায়ে সমর্থ হয়েছে। ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কারও কারও মতে, ডাকসু নির্বাচনে আন্দোলনকারীরা অংশ নিলে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন আর ডাকসু নির্বাচন পুরোপুরি ভিন্ন বিষয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনে তাদের পেছনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছিল এবং তারা সফলও হয়েছে এটা সত্য। কিন্তু ডাকসু নির্বাচনে অনেক রাজনৈতিক বিষয় কাজ করে। সে ক্ষেত্রে তারা কতটা সফল হতে পারবে, তা সময়ই বলে দেবে।

ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ১৮ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টনে মিলিত হন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।

আরও পড়ুন….

ফেব্রয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা

সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা ডাকসুতে অংশ নিতে প্রতিশ্রুতিব্ধ হয়েছেন।

FacebookTwitter