সারাদেশঃ
দেশে নতুন আরও পাঁচজন করোনারোগী শনাক্ত হয়েছে বলে গতকাল ৩ এপ্রিল, শুক্রবার জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এদের নিয়ে বাংলাদেশে এই ভাইরাসটিতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৬১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে অনলাইন ব্রিফিংয়ে জানান মন্ত্রী।
আক্রান্তদের মধ্যে ৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৬ জন। চিকিৎসাধীন আছেন এ ভাইরাসে আক্রান্ত ২৯ জন রোগী। এদের ২২ জন হাসপাতালে ও বাকি ৭ জন রয়েছেন নিজ বাসায়।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট ৫১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে এবং ৫৪৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সেইসঙ্গে ১৪ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে এবং আইসোলেশন থেকে ১০ জনকে ছাড়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট ৮২ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে আইসোলেশনে রয়েছেন।
এদিকে আক্রান্ত ৬১ জনের তথ্য প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এতে দেখা যায়, দেশের আটটি জেলায় কোভিড-১৯ নামের এই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে সর্বাধিক ৩৬ জনই ঢাকায় শনাক্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ জন শনাক্ত হয়েছেন মাদারীপুরে।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ৬ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আর ৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন উত্তরের জেলা গাইবান্ধায়। রংপুর, গাজীপুর, কুমিল্লা ও কক্সবাজারে ১ জন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় আইইডিসিআর। এরপর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম ব্যক্তির মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
বাংলাদেশে সীমিত আকারে সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে বলে ২৫ মার্চ প্রথমবারের মত সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। এরপর থেকে সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী (৪ এপ্রিল, সকাল সোয়া ৯টা) গোটা বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৪৫৬ জন মানুষ। এদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৯ হাজার ১৬২ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ২৮ হাজার ৯২৩ জন।
-কেএম