অনলাইনঃ
সকাল থেকে টানা ছয় ঘন্টার বৃষ্টিতে আবারও পানির নিচে ডুবে গেল চট্টগ্রাম নগর।এ নিয়ে এক সপ্তাহে তিনবার ডুবল চট্টগ্রাম নগর।
পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের কর্তব্যরত আবহাওয়াবিদ বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরে ৬০.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কায় পাহাড়ধসের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
বৃষ্টিতে নগরের পতেঙ্গা, আগ্রাবাদ, হালিশহর, গোসাইলডাঙ্গা, সল্টগোলা, মোগলটুলি, নয়াবাজার, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, মুরাদপুর, কাপাসগোলা, রহমতগঞ্জ, হেমসেন লেন, জামালখান, চরচাক্তাই, বাকলিয়া, মাস্টারপুল, দুই নম্বর গেট, প্রবর্তক, পাঁচলাইশ, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, অক্সিজেন মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে পানির নিচে ছিল।
কোমরসমান পানিতে তলিয়ে যায় এসব এলাকা।
অতিরিক্ত পানি হওয়ার কারণে মুরাদপুর এবং প্রবর্তক মোড়ে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
মুরাদপুরে বাস, কার, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ইঞ্জিন বন্ধ করে পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল।
পানি কমার পর দুপুর সাড়ে ১২ঃ৩০ এর দিকে গাড়ি চলাচল শুরু হয়।
জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা এবং পরিচ্ছন্নতাসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ বলেন, আগে যেখানে পানি উঠত না, এবার সেসব জায়গায়ও পানি উঠেছে। বৃষ্টি থামার সঙ্গে সঙ্গে পানি নেমেও যাচ্ছে।
প্রবল বৃষ্টির মধ্যে নগরের খুলশী থানাধীন কুসুমবাগ এবং বায়েজিদ থানাধীন আরেফিন নগর আবাসিক এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে।
এ সময় আরেফিন নগর থেকে দুজনকে এবং কুসুমবাগ থেকে এক শিশুকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি।
সাধারণ জনগণের মতামত, নগরীর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার দুরাবস্থার কারণে বারবার এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
-এইচএম