অনলাইনঃ
ঢাকার গাবতলী এলাকা থেকে নব্য জেএমবি’র তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ আব্দুল্লাহ (২৪), সফিকুল ইসলাম ওরফে মোল্লাজী (৩৮) ও মোস্তফা হোসেন আরিফ (২৫)।
কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উওরবঙ্গের একটি জেলা হতে বাসযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন নব্য জেএমবি’র কয়েকজন সদস্য সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা করার জন্য ঢাকায় আসছেন এমন গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ ১৬ অক্টোবর রাত ০৮.৩০ টায় গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পাঠানো প্রেস রিলিজে বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তারা প্রত্যেকেই পুরাতন জেএমবি’র সদস্য ছিলেন। পরবর্তী সময়ে গুলশান হলি আর্টিজান মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী সোহেল মাহফুজের মাধ্যমে তারা নব্য জেএমবির দীক্ষা লাভ করেন।
তাদের মোবাইল ফোনে বিভিন্ন এ্যাপস ও Protective Text ব্যবহার করে বিভিন্ন মাধ্যমে নব্য জেএমবি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিলেন।
গ্রেফতারকৃতরা ২০১৭ সালের শেষের দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন সদর হাসপাতালের পাশে মহানন্দা নদীর পাড়ে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন নব্য জেএমবির এক সভায় মহসিন ও বাদরুলের মাধ্যমে উক্ত সংগঠনের সদস্যপদ গ্রহণ করেন বলে জানায়। তারা উক্ত সভায় উপস্থিত সংগঠনের আরো কয়েক জনের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেছেন।
প্রেস রিলিজে আরো বলা হয়, গ্রেফতারকৃত সফিকুল ইসলাম ওরফে মোল্লাজী এবং মোস্তফা হোসেন আরিফ নব্য জেএমবি’র অন্যান্য সদস্য শাহিন আলম ওরফে আলামিন, জিয়াউর রহমান ওরফে মহসিন, আরিফ, কবির, জহিরুল ওরফে মামুনুর রশিদ ও হারুনসহ বেশ কয়েকজনকে বিভিন্ন সময়ে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে নিয়ে যায়।
উলেখ্য যে জিয়াউর রহমান ওরফে মহসিন ২০১২ সালে বান্দরবানে জেএমবির অন্তর্কোন্দলে নিহত সালমান ওরফে তারেক হত্যা মামলার আসামি এবং জহিরুল ওরফে মামুনুর রশিদ, ২০১৫ সালে ঢাকার মোহাম্মদপুরে কলেজ শিক্ষিকা কৃষ্ণা কাবেরী বিশ্বাস হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী।
ভারতে গিয়ে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ঝাড়খন্ড, কেরালাসহ বিভিন্ন রাজ্যে ভারতীয় জঙ্গিদের সাথে যৌথভাবে বোমা তৈরি ও অস্ত্র পরিচালনার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের জুন মাসে তাদের সংগঠনের সদস্য মামুন, জিয়াউর রহমান ওরফে বাদল ওরফে মহসিন ও আল আমিন ওরফে শাহিন” গণ ভারতীয় পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সন্ত্রসীরা দেশে ফিরে এসে গ্রেফতারকৃত মোঃ আব্দুল্লাহ এর মাধ্যমে সংগঠিত হয়ে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করে।
সূত্র: বাসস