সারাদেশঃ
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বাতিলের প্রতিবাদে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে ফুলছড়ি উপজেলা ও সাঘাটা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে দুই উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ হয়েছে।
জানা গেছে, সিইসির উপনির্বাচন বন্ধের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিকেল ৩টার দিকে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজের নেতৃত্বে মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে তারা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসানের সমর্থক ও নেতাকর্মীরা পরিষদের সামনের রাস্তায় এসে অবস্থান নেয়। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার কয়েক জায়গায় বিক্ষোভ মিছিলেরও ডাক দিয়েছে তারা। ইতোমধ্যে সাঘাটা ও ফুলছড়ি শহরে জড়ো হচ্ছেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, কোনো অসঙ্গতি ছাড়াই ভোট বন্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক।
এদিকে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বোনারপাড়াস্থ সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান বলেন, এই উপনির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে প্রায় সারাদিন ভোট দিয়েছেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। কোন কোন কেন্দ্রে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তারা কারও কাছে কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অথচ বাস্তবসম্মত যৌক্তিক কারণ ছাড়াই নির্বাচন কমিশন বেশকিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে। যা সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। সেটা তারা কমিশনের একতরফা সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কমিশন উপনির্বাচন বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। এতে সাধারণ ভোটারদের হতাশ করেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, যেসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে কমিশন, অধিকাংশই জাতীয় পার্টির প্রার্থী পরিকল্পিতভাবে এ কাজটি করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এটা ষড়যন্ত্র ও রহস্যজনক। প্রথম যে ৪৪টি কেন্দ্র স্থগিত করা হয়, সেগুলো বাদে বাকী কেন্দ্রগুলোর ফলাফল ঘোষণার দাবি জানান তিনি।
বিশ্লেষকদের মতে, এসব অনিয়ম বন্ধ করার ক্ষেত্রে ইসি মূলত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে ইসি সুষ্ঠু ভোট করতে সক্ষম হয়নি। শেষ পর্যন্ত তার হাতে থাকা সর্বোচ্চ ক্ষমতাই প্রয়োগ করেছেন।
-আরপি