গল্পে গল্পে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চায় জাহান আসিফ

গল্পে গল্পে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চায় জাহান আসিফ
গল্পে গল্পে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চায় জাহান আসিফ

শিশির মোজাম্মেল:

সোশ্যাল মিডিয়ায় জাহান আসিফ একটি পরিচিত নাম। তার নামের পাশাপাশি তাঁর গল্পের পাগল রয়েছে অসংখ্য। জাহানা আসিফের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। ছোটবেলা থেকে একটু চঞ্চল প্রকৃতির মানুষ তিনি।

এইচএসসি পাস করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে পাড়ি জমান। সেখানে পড়াশোনা এবং পার্টটাইম চাকরির পাশাপাশি ইউটিউবিং শুরু করেন। ধীরে ধীরে তার পরিচয়টা দাঁড়িয়েছে একজন তরুণ ইউটিউবার হিসেবে।

জাহান আসিফ শুরুটা যেভাবে

২০১৫ সালের শেষের দিকে তিনি ইউটিউবে ভিডিও দেওয়া শুরু করেন। প্রথমদিকে তিনি যে ভিডিও আপলোড করতেন, সেগুলোতে ভিউ খুব বেশি হতো না। কিন্তু তিনি থেমে যাননি। নিরলসভাবে একের পর এক ভিডিও বানিয়ে গেছেন দর্শকের চাহিদা অনুযায়ী।

দিনে দিনে তার ভিউজ বাড়তে থাকে। সেইসঙ্গে বাড়তে থাকে তার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা। দর্শকরা তার ভিডিওতে ইতিবাচক মন্তব্য করতে থাকেন। ভালো সাড়া পেলে তিনি অনুপ্রাণিত হন। নিয়মিত ভিডিও আপলোড চলতে থাকে।

একদিকে ভিউ বাড়তে থাকে; অপর দিকে হু হু করে বাড়তে থাকে সাবস্ক্রাইবার। এইতো কদিন আগে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ২ লাখ ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। আর মোট চ্যানেল ভিউ হয়েছে ১৯,৫৮০,৭৮৬।

জাহান আসিফ গণমাধ্যমকে জনান, তিনি ইউটিউবিং শুরু করেন এক রকমেরর বসে বলা যেতে পারে। পেশা হিসেবে নয়। তিনি স্যোসাল মিডিয়ার ভাইরাল বিভিন্ন টপিজ নিয়ে বিনোদনমূলক ভিডিও বানান। দর্শক তার ভিডিও দেখে আনন্দ উপভোগ করেন। এতেই তিনি আনন্দিত হয়।

আসিফ আরও জানান, বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পেশাদার ইউটিউবারের সংখ্যা কম। ইদানিং বেড়েছে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। শুরুটা ছিল দারুণ চ্যালেঞ্জের।

অনেকেই নিরুৎসাহিত করত। অনেক কটু মন্তব্য হজম করতে হয়েছে। এমনকি এখনো তা হজম করে যেতে হচ্ছে। এসব কিছুই স্কিপ অথবা ইগনোর করে আগাতে হয়।

তবু তিনি নিজেকে পরিপূর্ণ ইউটিউবার মনে করেন না। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত শিখছি, হাল না ছেড়ে সামনে এগোচ্ছি, এই শেখা আজীবন চলতে থাকবে। প্রতিটি ভিডিও তৈরি করেন এই শেখা ও জানার জায়গা থেকে।

কেউ ইউটিউবার হতে চাইলে পরামর্শ কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই তাকে অধ্যবসায়ী হতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। সময় নিয়ে যুগোপযোগী মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। নিয়মিত কাজ করতে হবে। ভিউ কম হলে কিংবা সাবস্ক্রাইবার না বাড়লে মন খারাপ করা যাবে না।

যেহেতু এটা একটা উম্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম সেহেতু বাজে মন্তব্যে প্রতিক্রিয়াশীল আচরণ করা যাবে না। সেটাও মেনে নিতে হবে। একই সাথে দরকার মনের জোর আর অদম্য সাহস।

এতসব কাজ নিয়ে পরিবারের মন্তব্য কী? আসিফের সহাস্য উত্তর, আমার প্রতিভার প্রথম দিকে খুব একটা পছন্দ না করলেও ধীরে ধীরে সাপোর্ট করতে থাকে। কিন্তু আমার ফ্রেন্ডরাও খুব সাপোর্ট করে। সবার দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে আরও এগিয়ে যেতে চান জনপ্রিয় তরুণ ইউটিউবার জাহান আসিফ।

তিনি দেশের মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে মানুষকে জানার এবং সচেতন করার গুরুত্ব দেবেন ‌। আমার ইউটিউব এর মতামত গুলো ভালো থাকলে আপনারা সাবস্ক্রাইব এবং আরো সুন্দর করার জন্য কি কি পরামর্শ আছে তা জানানোর জন্য অনুরোধ করবো।

/শিশির

FacebookTwitter