খেলাধূলাঃ
ক্রীড়াক্ষেত্রে জাতীয় পুরস্কার পেলেন মোহাম্মদ আলমগীর আলম। মোহাম্মদ আলমগীর আলম, খেলাধূলা জগতে এক অনন্য, অসাধারণ কৃতি খেলোয়াড়ের নাম।

আজ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ক্রীড়াক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ২০১৩ হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৮৫ জন কৃতি ক্রীড়াবিদ/ক্রীড়া সংগঠককে “জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার” প্রদান করা হয়েছে। ওই কৃতি খেলোয়াড়দের একজন উজ্জল নক্ষত্র নওগাঁর মোহাম্মদ আলমগীর আলম।

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর পক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপির হাত হতে অন্যান্যদের মত মোহাম্মদ আলমগীর আলমও পুরস্কার গ্রহন করেন।

মোহাম্মদ আলমগীর আলম ১৯৭৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গের নওগাঁ জেলায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।

মোহাম্মদ আলমগীরের শিক্ষাজীবনের প্রাথমিক পর্যায়টা কেটেছে নওগাঁ জেলা স্কুলে। সেখান থেকেই খেলাধূলা জীবনের সূত্রপাত। সেই সময় নওগাঁ জেলা স্কুলের পক্ষ থেকে খেলাধূলার বিভিন্ন পর্যায়ে মোহাম্মদ আলমগীর আলম বয়ে এনেছিলেন অনেক সুমান।

তার পর বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান(বিকেএসপি)তে ভর্তির সুযোগ পান।

মোহাম্মদ আলমগীর আলম ১৯৮৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক হকি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেন। ১৯৯৫ সালে ভারতে অনুষ্টিত এস এ গেমসে বাংলাদেশ হকি দল ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন।

এ ছাড়া একই সালেই ভারতের লাল বাহাদুর শাস্ত্রী আর্ন্তজাতিক হকি টূর্নামেন্টে বাংলাদেশ হকি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত জুনিয়র এশিয়া কাপ হকি দলের সদস্য হিসেবে অংশ নিয়ে রার্নাস আপ হন।

১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত আবাহনী ক্লাবের হকি সদস্য হিসেবে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে ৮ বার লীগ ও টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৯৭ সালে আবাহনীর হকি দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালনকালে দল টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয়।

১৯৯৬ ও ২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর পক্ষে ষষ্ঠ ও সপ্তম বাংলাদেশ গেমস এ স্বর্ণপদক অর্জন করেন এবং ১৯৯৫ সালে অধিনায়ক হিসেবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৯০ সালেও বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। মোহাম্মদ আলমগীর আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ব্লু’ অর্জন করেন।

নওগাঁ জেলার এই কৃতি খেলোয়াড়ের উল্লিখিত গুনাগুন পর্যালোচানা করে ২০১৮ সালের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

পুরস্কার প্রাপ্ত প্রত্যেকে পেয়েছেন-একটি আঠারো ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, এক লক্ষ টাকার একটি চেক এবং একটি সম্মাননাপত্র।

-মোজাম/শিশির

FacebookTwitter