স্বাস্থ্যঃ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি সফল হয়েছে দাবি করেছেন ভারতের রাজধানী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লিতে চার রোগীর ওপর পরীক্ষামূলকভাবে এটি প্রয়োগ করা হয়।
এতে ‘আশাব্যঞ্জক ফল’ মিলেছে বলে দাবি করেন কেজরিওয়াল।
একই দাবি করেছেন চিকিৎসকরাও। ২৪ এপ্রিল, শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতের গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।
কয়েকদিনের মধ্যে আরো পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে বলেও জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। তবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সতর্ক করে বলেন, ‘এটা প্রাথমিক ফল। করোনার চিকিৎসার উপায় পেয়ে গিয়েছি, এমন ভাবনার কোনো কারণ নেই। তবে হ্যাঁ, আশার আলো দেখা গিয়েছে, তা বলাই যায়।’
জানা গেছে, ইতোমধ্যে দিল্লির লোক নায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর ওপর পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। তাদের চারজনের মধ্যে দুজন দ্রুত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আরো দাবি করেন, ওই চারজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিলো। তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। প্লাজমা থেরাপির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।
এ সময় অরবিন্দ কেজরিওয়াল আবেদন করে বলেন, ‘যারা করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন, তারা যেন প্লাজমা-রক্ত দান করেন, তবেই এই থেরাপি প্রয়োগ সম্ভব হবে।’
সাংবাদিক সম্মেলনে ইন্সটিটিউট অব লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সের ডিরেক্টর এসকে সারিন বলেন, ‘পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফলে আমরা খুশি। আরো দু-তিনজন রোগীর ওপর প্রয়োগের জন্য রক্ত ও প্লাজমা তৈরি রয়েছে। তাদের আজই প্লাজমা থেরাপি দেয়া হতে পারে।’ আপাতত মোট ১০ জনের ওপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করার প্রতিষেধক বা ওষুধ এখনো তৈরি হয়নি। এর জন্য ক্রমাগত পরীক্ষা চলছে। তাই বিকল্প পথে ‘প্লাজমা থেরাপি’ প্রয়োগ করে করোনা রোগীদের সুস্থ করার চেষ্টা চলছে।
প্লাজমা থেরাপি কী?
করোনায় মৃত্যু প্রায় ২ লাখ, আক্রান্ত ২৮ লাখ ৩০ হাজার
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের শরীরের প্লাজমা বা রক্তরস নিয়ে করোনা আক্রান্তদের শরীরে তা প্রতিস্থাপন করা। তাহলে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির অ্যান্টিবডি আক্রান্তের শরীরে গিয়ে এই ভাইরাসকে হারিয়ে তাকে সুস্থ করে তুলতে পারবে বলেই বিজ্ঞানীদের ধারণা।
-ডিকে