স্বাস্থ্যঃ
কোভিড-১৯ চিকিৎসায় সরকারকে ১ হাজার রেমডিসিভির ওষুধ দিয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য ডোনেশন হিসেবে এ ওষুধ প্রদান করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল আজ এ ওষুধ হস্তান্তর করেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক ঔষধ গ্রহণ করেন। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমূল হাসান পাপন, এমপি ঔষধ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ চিকিৎসায় বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস প্রথম কোন ঔষধ হস্তান্তর করায় বেক্সিমকো ফার্মাকে ধন্যবাদ জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঔষধ গ্রহণকালে জানান, ‘বিশ্বের বহুদেশ কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ঔষধ আবিস্কারের চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ৬টি কোম্পনিকে কোভিড-১৯ চিকিৎসা ঔষধ প্রস্তুুত করতে প্রাথমিকভাবে অনুমতি দিয়েছে। এই ঔষধগুলো আরো ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই বাজারজাত করতে হবে। উপযুক্ত পরীক্ষা ছাড়া উৎপাদিত ঔষধগুলো এখনই বাজারজাত করা যাবে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আরো অনেক ধরণের ঔষধের নাম চলে আসে। কিন্তু বাংলাদেশসহ এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোন দেশই শতভাগ কার্যকরী ওষুধ আবিস্কার করতে পারেনি। তবে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।’
উল্লেখ্য, আমেরিকায় উৎপাদিত রেমডিসিভির ঔষধের ন্যায় বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা কর্তৃক উৎপাদিত ঔষধের নাম রেমডিসিভির করা হয়েছে। এই ঔষধ আপাতত সরকারি হাসপাতালসমূহে চিকিৎসারত ঝুকিপূর্ণ কোভিড-১৯ রোগীদের শরীরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রবেশ করানো হতে পারে।
এই ঔষধ এখনি বাজারজাত করা হবে না বলেও জানান বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমূল হাসান পাপন।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর আব্দুল্লাহ, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান এবং সিএমএইচডির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শহিদুল্লাহসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঔষধ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
-ডিকে/বাসস