অনলাইনঃ
গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) এর অর্থায়নে পরিচালিত হ্যালো প্লাস প্রকল্পের মাধ্যমে এবং কেয়ার বাংলাদেশের সহায়তায় জিএসকে সম্প্রতি গাজীপুরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা ও কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে করোনা প্রতিরোধের জন্য হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, লিকুইড সাবান ও হাত ধোয়ার বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করে্ন। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহ করছেন তারা।
এছাড়াও জিএসকে এর কর্মকর্তাবৃন্দ গাজীপুরের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পুষ্টির ঘাটতি পূরণে হরলিক্স বিতরন করেন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১২, ১৭, ১৯, ২২ এবং ৩৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সমন্বয় করে মোট ১৯টি স্বেচ্ছাসেবক দল ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ গঠন করা হয়। গাজীপুরের বাইমাইল এলাকায় করোনা প্রতিরোধের জন্য সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন ১২ নং ওয়ার্ড নির্বাচিত কাউন্সিলর আব্বাস উদ্দিন। তিনি বলেন, কোভিড- ১৯ এর সংক্রমণের কারণে দেশের এই পরিস্থিতিতে সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো নিজেদের খাবারও সংগ্রহ করতে পারছে না।
এসময় সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মাঝে সহয়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য জিএসকে এবং কেয়ার বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
সম্প্রতি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (জিসিসি) মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম-এর কাছে হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, লিকুইড সাবানসহ প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম ও হাত ধোয়ার উপকরণ তুলে দেন হ্যালো প্লাস প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসময় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য কাউন্সিলরা উপস্থিত ছিলেন।
এখন পর্যন্ত হ্যালো প্লাস প্রকল্পের আওতায় করোনা প্রতিরোধে প্রায় ৩০ হাজার পোশাক শ্রমিক এবং ৪০ হাজার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে। যার মধ্যে রয়েছে সচেতনতামূলক আলোচনা, সঠিক নিয়মে হাত ধোয়া প্রদর্শন, হাত ধোয়ার ব্যাপারে দলগত সচেতনতা বিষয়ক অধিবেশনসহ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় বিভিন্ন কল-কারখানা ও কমিউনিটিতে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
-শিশির