এমডব্লিউ পাওয়ার প্ল্যান্টের মেইন্টেনেন্স, ডিজিটাল সল্যুশন করবে জিই

এমডব্লিউ পাওয়ার প্ল্যান্টের মেইন্টেনেন্স, ডিজিটাল সল্যুশন করবে জিই
এমডব্লিউ পাওয়ার প্ল্যান্টের মেইন্টেনেন্স, ডিজিটাল সল্যুশন করবে জিই

ব্যবসা-বাণিজ্যঃ
ভারতের রিলায়েন্স পাওয়ার লিমিটেড এবং জাপানের জেরা কো. ইনক-এর যৌথ উদ্যোগ রিলায়েন্স বাংলাদেশ এলএনজি অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের সাহায্যে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে আসন্ন ৭১৮-মেগাওয়াট (এমডব্লিউ) সম্মিলিত পাওয়ার প্ল্যান্টে মেইন্টেনেন্স সার্ভিস এবং ডিজিটাল সল্যুশন প্রদানের বিষয়ে আজ ঘোষণা দিল জিই।

২২ বছরের চুক্তিপত্রে গ্যাস ও স্টিম টারবাইনে সরঞ্জামাদি রক্ষণাবেক্ষণ ও সহায়তা এবং ক্লাউড এপিএম (অ্যাসেট পারফর্মেন্স মেইন্টেনেন্স) স্বাস্থ্য ও নির্ভরযোগ্যতা, ওপিএম (অপারেশনস পারফর্মেন্স মেইন্টেনেন্স) পারফর্মেন্স ইন্টেলিজেন্স এবং কন্ট্রাক্ট টার্মের জন্য বেইসলাইন সিকিউরিটি সেন্টারের জন্য প্ল্যান্ট-ওয়াইড ডিজিটাল সল্যুশন বাস্তবায়ন উল্ল্যেখিত রয়েছে।

রিলায়েন্স বাংলাদেশ এলএনজি অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড-এর সিইও রঞ্জন লোহার বলেন, “বাংলাদেশের মতো উদীয়মান জাতির জন্য নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী বিদ্যুত সরবরাহ প্রয়োজন যার সাহায্যে দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সচল থাকবে। জিই-এর উন্নতমানে প্রযুক্তি, সেবা ও অত্যাধুনিক ডিজিটাল সল্যুশন এবং বাংলাদেশে পূর্ববর্তী কর্মকান্ডের ট্র্যাক রেকর্ড পর্যবেক্ষন করে আমরা এই বিষয়ে আশাবাদী যে ৭১৮ মেগাওয়াট মেঘনাঘাট পাওয়ার প্ল্যান্ট দেশের মানুষের জন্য টেকসই বিদ্যুত সরবরাহের মাধ্যমে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”

মেঘনাঘাট পাওয়ার প্ল্যান্টটি দুটি জিই ৯এফ গ্যাস টারবাইন, একটি জিই ডি১১ স্টিম টারবাইন এবং তিনটি এইচ৫৩ জেনারেটর দ্বারা পরিচালিত হবে। এটি এলএনজি জ্বালানীকে পুনঃগ্যাসিতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৮ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি পরিবারের জন্য চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুত সরবরাহ করবে। চুক্তি অনুযায়ী প্ল্যান্টের সকল প্রধান রক্ষণাবেক্ষণ পরিচালনার পাশাপাশি প্ল্যান্টে সকল প্রকার পাওয়ার এর সহজলভ্যতা ও পাওয়ারের পারফর্মেন্সে উন্নতি করার বিষয়ে লক্ষ্যস্থির করেছে জিই। জিই ডিজিটাল কর্তৃক সরবরাহকৃত ডিজিটাল সল্যুশনের মাধ্যমে নিম্নোল্ল্যেখিত সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে;

অ্যাসেট পারফর্মেন্স ম্যানেজমেন্ট – ফ্যাক্টরি ও পাওয়ারের সহজলভ্যতা ব্যাবস্থা জুড়ে সরঞ্জামের নির্ভরযোগ্যতা এবং ওঅ্যান্ডএম কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। জিই শিল্প দক্ষতা, উন্নন বিশ্লেষণ এবং কর্ম পদ্ধতি স্বয়ংক্রিয়করণের মাধ্যমে এপিএম-কে বিদ্যুত উৎপাদন কর্মকান্ডের মেরুদন্ড বলা চলে যা যেকোন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটার পূর্বেই তা সনাক্ত করতে সক্ষম।

অপারেশনস পারফর্মেন্স ম্যানেজমেন্ট – মুনাফাজনক কার্যক্রম এবং পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত গ্রহণে সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণের মাধ্যমে অন্তর্দৃষ্টি সরবরাহ করে। সর্বোচ্চ দক্ষতা পরিচালনা থেকে শুরু করে তথ্যবহুল সিদ্ধান্ত প্রেরণ পর্যন্ত প্ল্যান্টের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে ওপিএম সাহায্য করে।

বেইসলাইন সিকিউরিটি – অভ্যন্তরীণ ও বহিঃগত সাইবার সিকিউরিটি গ্যাপস ও ঝুঁকি সনাক্ত করে। পাশাপাশি গভর্নেন্স, এন্ডপয়েন্ট প্রোটেকশন, অ্যাপ্লিকেশন ও নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি, ডাটা প্রোটেকশন, প্রিভিলেজ অ্যাক্সেস ম্যানেজমেন্ট, ওটি মনিটরিং, ইনসিডেন্ট হ্যান্ডেলিং অ্যান্ড রেসপন্স, ডাটা প্রাইভেসি এবং আইডেন্টিটি ম্যানেজমেন্ট জনিত জটিলতা নিরসণ করে থাকে।

জিই গ্যাস পাওয়ার সাউথ এশিয়ার সিইও দীপেশ নন্দ বলেন, “অর্থনৈতিক বিকাশ, প্রগতিশীল নীতি কাঠামো এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের সম্ভাবনা বাংলাদেশকে আজ বিদ্যুত খাতে বৈশ্বিক বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দুতে রূপান্তরিত করেছে। আসন্ন ৭১৮ মেগাওয়াট মেঘনাঘাট পাওয়ার প্ল্যান্ট সেটিই প্রমাণ করে। বিদ্যুতকে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করে তুলতে বাংলাদেশের বিদ্যুত খাতের উন্নয়ন সাধনে আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে জিই।”

পূর্ববর্তী ঘোষণা মোতাবেক, জিই দুটি জিই ৯এফ.০৩ গ্যাস টারবাইন, স্টিম টারবাইন পুনঃর্র্নিমাণের সাথে কন্ট্রোল আপগ্রেড এবং এই সম্পর্কিত অংশবিশেষের জন্য এজিপি আপগ্রেড সরবরাহ করবে। একবার বাস্তবায়িত হয়ে গেলে, এজিপি প্রযুক্তি বিদ্যুতের আউটপুটে ৬.৭% বৃদ্ধি, তাপের হারে ৩.৩% উন্নতি, এবং ২% পর্যন্ত কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে সরবরাহ করতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি গ্যাস টারবাইনের অপারেশনাল ফ্লেক্সিবিলিটি বৃদ্ধি এবং এর রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবধান ৩২ হাজার ঘন্টা বাড়িয়ে দিবে।

আরও পড়তে পারেন:

আজ, জিই’র স্থাপিত গ্যাস টারবাইন বেইজ বাংলাদেশে প্রায় ৩ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদন করছে। এইচ-ক্লাস, ই-ক্লাস, এফ-ক্লাস, ফ্রেম ৬ এবং এরো-ডেরিভেটিভস সহ গ্যাস টারবাইন প্রযুক্তির একটি শক্তিশালী পোর্টফোলিও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির যা দেশের অপারেশনাল এবং আসন্ন পাওয়ার প্ল্যান্ট জুড়ে স্থাপন করা হয়েছে।

-শিশির

FacebookTwitter