এভারকেয়ারে ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ারস, এম্ব্রেসিং ইক্যুইটি’ সেমিনার অনুষ্ঠিত

ব্রেকিং ব্যারিয়ারস, এম্ব্রেসিং ইক্যুইটি
এভারকেয়ারে ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ারস, এম্ব্রেসিং ইক্যুইটি’ সেমিনার অনুষ্ঠিত

স্বাস্থ্যঃ
বিশ্ব নারী দিবসের মাসে, দেশের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা, ‘ব্রেকিং ব্যারিয়ারস, এম্ব্রেসিং ইক্যুইটি’ শীর্ষক এক বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করেছে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রূপালী চৌধুরী এবং ওরাকল বাংলাদেশ-নেপাল-ভূটান-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রুবাবা দৌলা।

এছাড়াও ছিলেন, এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র হিউম্যান রিসোর্সেস বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর কায়সার চৌধুরী; মেডিকেল সার্ভিসেস বিভাগের ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ; সিএমও ভিনয় কাউল; অপারেশনস বিভাগের ডিরেক্টর ডা. আশুতোষ সুদ; নার্সিং সার্ভিসেস বিভাগের ডিরেক্টর সামিনা শিরকে; বিভিন্ন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্টস ও সিনিয়র সদস্যবৃন্দ।

এছাড়া, সেমিনারে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের কর্মীবৃন্দ আগ্রহের সহিত অতিথিদের অভিজ্ঞতা, মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করেন।

নারী ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে রূপালী চৌধুরী বলেন, “কর্মক্ষেত্রে নারীদের অধিকার নিশ্চিত, দক্ষতা উন্নয়ন, প্রতিবন্ধী নারীদের সুযোগ প্রদান, শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত করা, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত, গ্রামীণ নারীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

নারী-পুরুষ বৈষম্যের পাশাপাশি গ্রামীণ নারী-শহুরে নারী এজাতীয় বৈষম্যও দূর করতে হবে। নারী ক্ষমতায়নের বাস্তবায়ন প্রতিটি পরিবার থেকেই শুরু হওয়া চাই, এবং সকলের প্রতি আমার আহ্বান, দেশকে নারী-বান্ধব করে তুলতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসুন।”

সেমিনারে নারী অধিকার ও সমতা প্রসঙ্গে রুবাবা দৌলা বলেন, “নারীকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে পারলে আধুনিক ও উন্নত দেশ গঠন সম্ভব।

শিক্ষা, পেশা, প্রযুক্তি সকল ক্ষেত্রেই নারী অধিকার ও সমতা নিশ্চিত করতে হবে। নারীদের দুর্বল মনে করা এই সমাজের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।

কোন কাজ নারীরা পারবেনা বা কষ্টসাধ্য হবে এমনটি মনে করার সুযোগ নেই।

এন্ট্রাপ্রিনিউরশিপ, ফ্রি-ল্যান্সিং, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিটি এসব ক্ষেত্রেও নারীদের ক্ষেত্রগুলো প্রশস্থ করতে হবে।”

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র হিউম্যান রিসোর্সেস বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর কায়সার চৌধুরী বলেন, “একটি প্রতিষ্ঠানে সমতা প্রতিষ্ঠা করা মোটেই সহজ নয়।

এর জন্য কঠোর পরিশ্রম, সকলের মতামত মনোযোগের সাথে কথা শোনা, সহানুভূতিশীল ব্যবহার ইত্যাদি খুবই প্রয়োজন।

প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কর্মকর্তাদের উচিৎ অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে সকলের জন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা। সমতা নিশ্চিতের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেকের যোগ্যতা ও সক্ষমতা মূল্যায়নের মাধ্যমে সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।”

-শিশির

FacebookTwitter