শিক্ষাঃ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) চলমান ইস্যু নিয়ে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এসময় শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের কথা বললেও উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের বিষয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি তিনি।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে ভিসিকে সরানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগ করেন।
তিনি বলেন, উপাচার্যকে সরানোর ব্যাপারে ভিন্ন একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। তাকে রাখা হবে নাকি সরানো হবে, তা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দীপু মনি বলেন, উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়াটাই একমাত্র সমাধান নয়। একজন উপাচার্যকে সরানো হলে সেখানে অন্যজন আসবেন। উপাচার্য থাকলেন নাকি থাকলেন না, তাতে কিন্তু শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধান হবে না। উপাচার্যকে সরানোর পরও যদি শিক্ষার্থীদের সমস্যা থেকে যায়, তাহলে তাদের কোনো লাভ হবে না। তাই শিক্ষার্থীদের সমস্যা চিহ্নিত করে, তা সমাধানে গুরুত্বসহকারে নজর দিতে হবে।
এসময় শিক্ষার্থীদের সব দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন করা হবে বলেও আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী।
উল্লেখ্য, আবাসিক হলের কয়েকটি সমস্যা নিরসনের দাবিতে গত ১৪ জানুয়ারি আন্দোলনে নামেন শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের ছাত্রীরা।
সেই আন্দোলনের দুদিন পরই যোগ হয় হলটির প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগের দাবিও। ছাত্রীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আন্দোলনে নামেন ছাত্ররাও। আন্দোলন দমনে প্রশাসনের হুমকি-ধামকি, ছাত্রলীগের হামলা, পুলিশের লাঠিপেটায় ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।
সর্বশেষ উপাচার্যের বিতর্কিত মন্তব্যে আন্দোলনে নতুন মোড় নেয়। দাবি ওঠে উপাচার্যের পদত্যাগের। শেষ পর্যন্ত ‘উপাচার্য হটাও’ দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন ২৪ শিক্ষার্থী।
তাদের সঙ্গে যোগ দেন আরও চারজন। টানা সাতদিন অনশনের পর অবশেষে নমনীয় হন শিক্ষার্থীরা। অনশন ভাঙলেও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
-টিপু