নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন এমপি বলেছেন, ইঁদুরের উপদ্রবসহ সব ধরনের আপদ বালাই রুখতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) মাসব্যাপি জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ইঁদুর ছোট প্রাণি হলেও এর ক্ষতির পরিমান ব্যাপক। ইঁদুর উৎপাদিত ফসলের ২০-৩০ ভাগ ক্ষতি করে থাকে। ইঁদুরের শত্রু পেঁচা, গুইসাপ, বনবিড়াল, বেজি এদের আবাসস্থল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ইঁদুরের উপদ্রব দিন দিন বাড়ছে। ইঁদুর নিধনে সকলে সচেতন হলে ব্যাপক ক্ষতির হাত হতে আমরা রক্ষা পাবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, ধান ক্ষেতের আইলগুলো উঠে দিয়ে কমিউিনিটি ফার্মিং করতে পারলে ইঁদুর নিধন কার্যক্রম আরো বেশি সফল হবে। প্রত্যেক ইউনিয়নে প্রশিক্ষিত রেট কিলার তৈরি করতে পারলেও ইঁদুরকে সহজে দমন করা যাবে।
“ঘরের ইঁদুর , মাঠের ইঁদুর, ধ্বংস করে অন্ন, সবাই মিলে ইঁদুর মারি ফসল রক্ষার জন্য” প্রতিপাদ্যে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০১৮ ও ২০১৭ সালের পুরষ্কার বিতরণ উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের উপপরিচালক কৃষিবিদ জাকিয়া বেগম। স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ অমিদাভ দাস। অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ইঁদুর নিধনকারীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
-আরবি