সাবিনা ইয়াসমীন মুন্না, শিক্ষিকাঃ
শয়তান একবার হযরত ঈসা (আঃ)-কে বললো “তুমি এই পাহাড় থেকে লাফ দাও, যদি তোমার আল্লাহ সত্য হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি তোমাকে রক্ষা করবেন”। তখন হযরর ঈসা (আঃ) শয়তানকে বললেন “আমার প্রভু সবার পরীক্ষা নেন, আমি কখনোই আমার প্রভুর পরীক্ষা নিতে যাবো না”।
আর আমরা বাঙ্গালীরা উল্টো প্রভুর পরীক্ষা নিই ।
“প্রভুর উপর ভরসা রাখলে বা প্রভুর নাম নিলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত করতে পারবে না” এই ডায়লগ দিয়ে অসাবধানতা অবলম্বন করে চায়ের দোকান এলাকায় আড্ডাবাজি করে ঈমানের নামে আপনি আল্লাহকেই পরীক্ষা নিচ্ছি আমরা, সাবধান হন। আল্লাহর পরীক্ষা নিতে যাবেন না। এটা আপনার আমার ভিতরে থাকা শয়তানের প্ররোচনা।
আল্লাহ আপনাকে বিবেক দিয়েছে, আগুনে ঝাঁপ দিলে মারা যাবেন, এখন যদি বলেন আল্লাহ আছে তিনি বাচাঁবে তাহলে আল্লাহ বাঁচাতে আসবে না কারণ আপনি আল্লাহর পরিক্ষা নিচ্ছেন। আল্লাহ বলে নাই আপনাকে আগুনে ঝাঁপ দিতে।উল্টো জাহান্নামী হবেন, কারণ সেটা হবে আত্মহত্যা।
হযরত নুহ (عليه السلام) কে বন্যার বিষয়ে সতর্ক করা হয় যার জন্য তিনি জাহাজটি তৈরি করেছিলেন।
হযরত ইউসুফ (عليه السلام) কে খরা ও খাদ্য সংরক্ষণের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
হযরত লূত (عليه السلام) কে সদোম ও গমোরার ধ্বংস সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল যার জন্য তিনি তাঁর পরিবার নিয়ে বেরিয়েছিলেন।
হযরত মুহাম্মদ (صلى الله عليه و آله وصحبه وسلم) কে তাঁর জীবনের প্রয়াস সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল এবং তিনি মক্কা ত্যাগ করেছিলেন।
এখানে নবীগণের ৫ জন উদাহরণ দেওয়া হল।
আপনাকে ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করুন।
নবী মোহাম্মদ (সঃ) এর পরামর্শ বলেছেন: “যদি আপনি কোনও দেশে প্লেগ (রোগ) শুনে থাকেন তবে আপনি সেখানে প্রবেশ করবেন না। এবং আপনি যেখানে থাকেন সেখানে যদি তা ঘটে থাকে তবে তা ত্যাগ করবেন না। “- (বুখারী ৫৩৯৬ এবং মুসলিম ২২১৮)
তিনি (সঃ) তাঁর অনুগামীদের এমন জায়গায় ভ্রমণ না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন যেগুলি রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল এবং দূষিত অঞ্চলে তাঁর সম্প্রদায়ের লোকদের যেতে মানা করেছিলেন এবং এই রোগটি যাতে আরও ছড়িয়ে না যায় সেই ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
আল্লাহ আমাদের শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা করুণ। আমিন।
-এসএম