অত্যন্ত দুঃখজনক, আমরা এতে লজ্জিতঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিকঃ

সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের কুয়েতে আটকের বিষয়টিকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সারা পৃথিবী যখন মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে, তখন দেশের একজন সংসদ সদস্যের কুয়েত এভাবে আটক হওয়ার সংবাদকে অনভিপ্রেত হিসেবেও মনে করেন তিনি।

গতকাল ৭ জুন, রবিবার রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি জানান, কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম টেলিফোনে লক্ষ্মীপুরের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলামকে আটকের বিষয়টি ঢাকায় জানিয়েছেন।

যদিও কুয়েত কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রবিবার পর্যন্ত বাংলাদেশকে কিছু জানায়নি।

গত ৬ জুন, শনিবার রাতে কুয়েত সিটির মুশরিফ আবাসিক এলাকার বাসা থেকে লক্ষীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে আটক করে তাদের দপ্তরে নিয়ে যায় কুয়েত সিআইডির কর্মকর্তারা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, ‘কুয়েত থেকে রাষ্ট্রদূত আমাকে জানিয়েছেন লক্ষীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম আটক হয়েছেন বলে শুনেছেন। সেখানকার সিআইডি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে।’

এই সাংসদ কুয়েতে একটি বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান– যিনি কুয়েতের নাগরিক, সাংসদকে জামিনে মুক্ত করার জন্য চেষ্টা করছেন।’

তিনি আরো জানান, সাংসদকে কেন নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে কুয়েতের কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি বলেও রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। তবে তার বিরুদ্ধে কেউ মুদ্রা পাচার ও মানব পাচারের অভিযোগ দিয়েছে।

তাছাড়া যেহেতু বড় ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করেন, সেখানে তাঁর সঙ্গে অন্যদের ব্যবসায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিতাও রয়েছে বলেও জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনা সত্যি হয়ে থাকলে খুবই দুঃখজনক। বিদেশে গিয়ে একজন সাংসদ এ ধরণের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াবেন তা একেবারেই অনভিপ্রেত।’

তিনি আরো বলেন, ‘এমন সময় এই ঘটনাটা ঘটেছে যখন পৃথিবীর সব দেশ মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত। এমন সময়ে সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এতে লজ্জিত।’

FacebookTwitter